আবরার হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বেরোবি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৪ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
এ সময় মিছিল থেকে ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে’,‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘মায়ের বুক খালি কেন প্রশাসন জবাব চাই’,‘বাবার কাধে লাশ কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আবরার মরে নাই, মরে গেছে বাংলাদেশ’, ‘আবরারের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’, ‘আবরারের খুনিদের ফাঁসি চাই, দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়া হয়।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রংপুরের মডার্ণ মোড়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক সংলগ্ন পার্কমোড়ে সমাবেশ ও মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় ছাত্র নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে চিন্তা করবে, দেশ নিয়ে চিন্তা করবে, গবেষণা করবে, মুক্ত চিন্তা প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক।
শুধুমাত্র দেশ নিয়ে কথা বলায় কাউকে হত্যা করা হবে এটা দেশের কোন আইনে আছে। এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধুমাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়নি, হত্যা করা হয়েছে স্বাধীন দেশের মানুষের মুক্ত চিন্তা প্রকাশের শক্তিকে।
বক্তারা আরও বলেন, যারা আবরারকে হত্যা করেছে তারা সন্ত্রাসী। আর সন্ত্রাসীদের জায়গা বুয়েটে হবে না, ঢাবিতে হবে না, বেরোবিতে হবে না, এমনকি তাদের জায়গা এ দেশেতে হবে না। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, দল নেই, মত নেই তাদের একটাই পরিচয় তারা শুধু সন্ত্রাসী।
অনতিবিলম্বে সে সন্ত্রাসীদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে অন্য কেউ এ ধরণের ঘৃণ্য কাজ করতে সাহস না পায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৭ অক্টোবর) ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। এরপর থেকে সারাদেশে আন্দলোনে ফুঁসে ওঠে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা।
আই/কেআই