ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

অমিত সাহাকে আসামি থেকে বাদ দেওয়ার কারণ জানাল ডিবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৪ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:০১ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ-ডিবির (ঢাকা দক্ষিণ) এডিসি রাজীব আল মাসুদ বলেছেন, ‘বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র অমিত সাহাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবরার হত্যার ঘটনায় আটক ১০ জন তাদের সম্পৃক্ততার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না। মারধর করতে গিয়ে আবরার মারা গেছে। তারপরও ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামির প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সকালে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম এ আদেশ দেন।

এর আগে দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯ জন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। 

এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। অভিযোগের সত্যতা উদ্ঘাটনে গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি আজ তাদের সংশ্লিষ্টতার পেয়েছে বলে জানিয়েছে। 

 টিআর/