ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

বিসমিল্লাহ আমলের গুরুত্ব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ১১ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

মুসলিমদের জীবন যাপন, ধর্ম-কর্ম সবই পরিচালিত হয় নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে ঘিরে। তাঁর দেখানো পথই মুসলিমদের পাথেয়। জীবন যাপনের খুঁটিনাকি সবই দেখিয়ে গেছেন রাসূল (সা.)। আর তাতেই রয়েছে কল্যাণ। নবী করিম (সা.) বেশি বেশি বিসমিল্লাহ বলতেন।

বিসমিল্লাহ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল যার ফজিলত লিখে শেষ করা যায় না। কুরআনের একটি সূরা ব্যতীত প্রত্যেকটি সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ রয়েছে। বিসমিল্লাহ বলায় রয়েছে অশেষ বরকত। মহান আল্লাহর কাছ থেকে রহমত আসতে থাকে। 

বিসমিল্লাহ বলার উদ্দেশ্যই হলো আমি কাজটি আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং কাজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ওপর নির্ভর করছি। যে কাজ আল্লাহর নাম স্মরণের মাধ্যমে শুরু হয়। সেই কাজটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর হেফাজতের মধ্যে থাকা যায়। 

তাফসিরে কবিরে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি জীবনে চার হাজারবার বিসমিল্লাহ শরিফ পাঠ করেছে এমন সাক্ষ্য তার আমলনামায় উল্লেখ থাকলে কেয়ামতের ময়দানে সে আল্লাহর আরশের নিচে স্থান পাবে। 

আমালিয়াতে কুরআন কিতাবে হাদিস শরিফের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, হজরত আবু বকর (রা:) কর্তৃক বর্ণিত। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ পাঠ করে, আল্লাহপাক তার জন্য দশ হাজার নেকি লিখেন এবং আমলনামা থেকে দশ হাজার গুণাহ মাফ করেন এবং দশ হাজার উচ্চ মর্যাদা দান করেন। 

রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠকারী কেয়ামতের দিন আল্লাহর রহমতের মধ্যে ডুবে যাবে। তাই  রাসূল (সা.) বেশি বেশি বিসমিল্লাহ বলতেন। বিসমিল্লায় রয়েছে পরম করুণাময়ের অশেষ বরকত। খাবার শুরুতে, কোথাও যাবার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে, বাসস্থান ও অফিসে ঢোকার সময়, কাজ শুরুর আগে এবং লেখাপড়া শুরু করার আগে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা উচিত।

তবে কোনো হারাম কিংবা নিষিদ্ধ কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া জায়েজ নেই। 

এএইচ/