ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আদালতে আবরার হত্যার কথা স্বীকার করল জিয়ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:০৩ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের আসামিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আবরার হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। গত ৮ অক্টোবর একই আদালত আসামি সকাল, জিয়নসহ এ মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা। 

তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।  
হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।