নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদের অন্য জীবন
নাজমুশ শাহাদাৎ
প্রকাশিত : ১১:৫০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:৫৪ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার
সাম্প্রতিক সময়ে দুনিয়া জুড়ে বেশ আলোচিত নাম আবি আহমেদ। আফ্রিকার প্রাচীনতম স্বাধীন রাষ্ট্র ইথিওপিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তিনি। পুরো নাম আবি আহমেদ আলী। সংক্ষেপে অনেকে আবি নামেও ডাকেন। যিনি ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল প্রাপ্তির জন্য ঘোষিত হয়েছেন।
ইথিওপিয়া থেকেই স্বাধীন হয়ে যাওয়া ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার জেতেন ৪৩ বছর বয়সী আবি আহমেদ। ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশকের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকার স্বীকৃতি পেলেন তিনি।
জন্ম ও শৈশব
১৯৭৬ সালের ১৫ অগাস্ট ইথিওপিয়ার ওরোমিয়া এলাকার ঐতিহাসিক কাফ্ফা প্রদেশ এর (বর্তমান জিমা অঞ্চল) বিশাসাতে জন্মগ্রহণ করেন আবি। তার বাবা আহমেদ আলি ছিলেন মুসলমান ওরোমু সম্প্রদায়ের একজন কৃষক। তার ছিল চারটি স্ত্রী। যার মধ্যে আবি আহমদের মা তেজেটা উল্ডে ছিলেন খ্রিস্টান আমহারা সম্প্রদায়ের।
আবি তার বাবার ১৩তম সন্তান এবং তার মায়ের ৬ষ্ঠ ও ছোট সন্তান। শৈশবে তার নাম ছিলো আবিয়ত (Abiyot), যার অর্থ বিপ্লব। তার নামটি ১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়ায় সংঘটিত হওয়া ডার্গ রেভ্যুলেশন থেকে নেয়া।
শিক্ষা ও ব্যক্তিগত জীবন
আবি বিশাসার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও পরে আগারু নামক উপশহরের এক স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন। তিনি তার লেখাপড়ার প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন, যা পরবর্তীতে তাকে অন্যান্য শিক্ষায় ও উন্নতিতে সহায়তা করেছিলো।
মাধ্যমিক শেষ করে ইথিওপিয়া ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সে যোগ দেন আবি। ফোর্সে যোগ দিয়েই ২০০১ সালে রাজধানী আদ্দিস আবাবার মাইক্রোলিংক ইনফরমেশন টেকনোলজি কলেজ থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলের ওপর তার প্রথম ব্যচেলর ডিগ্রি লাভ করেন আবি। এরপর আবি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব গ্রীনিস থেকে ট্রান্সফরম্যাশনাল লিডারশীপ এর ওপর এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।
এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে আদ্দিস আবাবার অ্যাশল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধীনে লেডস্টার কলেজ অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লিডারশীপ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। আবি কয়েকবছর পূর্বে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে পিএইচডির জন্য লেখাপড়া শুরু করেন এবং আদ্দিস আবাবা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৭ সালে তিনি ফিলসোফিতে পিএইচডি করেন।
এর আগে তিনি ডিফেন্স ফোর্সের সহকর্মী গোন্ডারের আমহারা সম্প্রদায়ের জিনাস তায়াকিউ নামক এক রমনীকে বিয়ে করেন। তাদের তিন মেয়ে ও একটি পালক পুত্র রয়েছে।
আবি একজন বহুভাষা ভাষী ব্যক্তি। তিনি ইংরেজি, আফান ওরুমো, অ্যামারিক এবং তিগ্রিনিয়া ভাষায়ও কথা বলতে পারেন। আবি যীশুর বাণী ও গসফেলে বিশ্বাসী একজন পূর্ণ খিস্ট্রান ধর্মাবলম্বী।
মিলিটারি জীবন
১৯৯১ সালের শুরুর দিকে তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর কিশোর বয়সেই মার্কস ও লেনিনবাদের বিপক্ষে লড়তে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন আবি। তখন তিনি ওরুমো ডেমোক্রেটিক পার্টির (ওডিপি) একজন সদস্য ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তখন অল্পসংখ্যক ওডিপি এবং ৯০ হাজারের মতো তিগ্রায়ান যোদ্ধা ছিলো। যাদের থেকে খুব সহজেই তিনি তিগ্রিনিয়া ভাষা শিখে ফেলেন। তিগ্রিনিয়া ভাষা জানা একজন বক্তা হিসেবে তিনি তার মিলিটারি ক্যারিয়ার সহজে সামনে এগিয়ে নিতে পেরেছিলেন।
এরপর তিনি নিয়মানুযায়ী পশ্চিম ওলেগা প্রদেশের আসেফা ব্রিগেডে প্রশিক্ষণ নেন এবং সেখানেই অবস্থান করেন। তার মিলিটারি পোস্টটি ছিলো গোয়েন্দা সম্পর্কিত। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে বর্তমান ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের একজন সৈনিক হন এবং অধিকাংশ সময়ই গোয়েন্দা বিভাগেই কাজ করেন।
১৯৯৫ সালে রোয়ান্ডা গণহত্যার পর তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনস এসিসট্যান্টে মিশন ফর রোয়ান্ডার সৈনিক হিসেবে রোয়ান্ডার কিগালিতে যুদ্ধ করতে যান। ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া যুদ্ধের সময় তিনি ইরিত্রিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের অবস্থান নির্ণয়ে একটি ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
পরবর্তীতে আবি তার নিজের এলাকা বিশাসাতে ডিফেন্স অফিসার হিসাবে ফিরে আসেন। যেখানে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে আন্তঃধর্মীয় সংঘাতের কারণে কয়েকজন লোকের প্রাণহানী ঘটে। তিনি পরবর্তীতে এই পরিস্থিতি শান্ত ও শান্তিপূর্ণ করতে সক্ষম হন।
২০০৮ সালে আবি ইথিওপিয়ান ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এজেন্সির (INSA) সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সেখানে বিভিন্ন পদে কাজ করেন। দুই বছরের জন্য তিনি INSA-এর পরিচালকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই কাজের জন্য পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সরকারি তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সংস্থা ইথিও টেলিকম ও ইথিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনেও কাজ করার সুযোগ লাভ করেন।
২০১০ সালে হঠাৎ তিনি তার মিলিটারির ডেপুটি পরিচালকের পদ ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিলিটারি জীবনে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল-এর মতো উচ্চপদেও আসীন ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
ওরোমো ডেমক্রেটিক পার্টির (ওডিপি) একজন সদস্য হিসেবে আবি তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ওডিপি ১৯৯১ সাল থেকে ওরোমিয়া শাসন করা দল। দ্রুতই সফলতার সাথে তিনি ওডিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ইআরডিপি'র একজন কংগ্রেস সদস্য হিসেবে অধিষ্ঠিত হন।
শান্তির জন্য ২০১০ সালে ধর্মীয় ফোরামে
২০১০ সালে ওরোমো ডেমক্রেটিক পার্টি (ওডিপি) থেকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন আবি। ওই সময়ে তার জন্মস্থান ‘জিম্মা অঞ্চলে’ মুসলমান ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে হরহামেশাই দাঙ্গা বেঁধে থাকত। সেই দাঙ্গায় বহু মানুষ নিহত হয়। সে সময় পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে দাঙ্গা ঠেকাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন আবি। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন তিনি। এজন্য তিনি "রিলিজিয়াস ফোরাম ফর পিস" নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
২০১৫ সালে ওডিপির এজন্য নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন আবি। ওই বছরই তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ওরোমি অঞ্চল, বিশেষ করে আদ্দিস আবাবার চারপাশে অবৈধভাবে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকায় চলে আসেন আবি। আন্দোলনের মুখে জমি অধিগ্রহণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
ক্ষমতায় আরোহণ
২০১৫ সালের শুরু থেকে অবৈধ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আবি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।
এদিকে টানা তিন বছরের আন্দোলন এবং বিক্ষোভের মুখে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইথিওপিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হিলেমারিয়াম দেসালজেন পদত্যাগে বাধ্য হন। সেইসঙ্গে তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন জোট ইপিআরপিএফ এর প্রধানের পদও হারান। দেশটির চার দল ওডিপি, এডিপি, এসইপিডিএম এবং টিপিএলএফ মিলেই এ জোট।
মজার বিষয় হলো- ইথিওপিয়ার অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষমতাসীন জোটের প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তাই হিলেমারিয়ামের পদত্যাগের পর প্রথমবারের মত ইপিআরপিএফ জোটের নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট হয়। ওই সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ওডিপি প্রধান লেমা মেগেরসা এবং আবি আহমেদকে এগিয়ে রেখেছিলেন।
তবে লেমা মেগেরসা দলীয় প্রধান হলেও পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন না। আর ইথিওপিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী হতে হলে অবশ্যই পার্লামেন্ট সদস্য হতে হবে। যে কারণে লেমা মেগেরসার বদলে আবি আহমেদকেই ওডিপি প্রধান ঘোষণা করা হয়।
ফলে ২০১৮ সালের ১ মার্চ ইপিআরপিএফ-এর নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ভোটে আবি জোট প্রধান নির্বাচিত হন এবং পরে দেশটির ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
যুদ্ধের সমাপ্তিতে ভূমিকা
১ এপ্রিল ২০১৮ সালে আবি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ইথিওপিয়ার জনগণের মধ্যে ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্তে যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দেন।
আফ্রিকার দরিদ্র এ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। সেখানে পরবর্তী দুই দশক পর্যন্ত চলে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে সংঘাত ও সীমান্ত সমস্যা। আবি আহমেদের উদ্যোগে ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হয় এবং তা যুদ্ধের অবসানে ভূমিকা রাখে। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যকার দীর্ঘ ২০ বছরের সমস্যা নিরসনের জন্য তিনি ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
গরিব কৃষকের সন্তান, গোয়েন্দা কর্মকর্তা থেকে আফ্রিকার দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি সংস্কারের নেপথ্য নায়কে পরিণত হয়েছেন আবি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কয়েক দশকের ঘা-কে তিনি সেরে তুলেছেন। তাকে দেশটির এক অবিশ্বাস্য নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। তিনি অত্যন্ত সহজ সরল ও সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত।
পুরস্কার সমূহ
আবি তার এই শান্তি প্রচেষ্টায় বহু সংখ্যক পুরষ্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে- ৯ জুন ২০১৮ মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য পিয়ার্ল অব আফ্রিকা: গ্র্যান্ড মাস্টার (উগান্ডা), ২৪ জুলাই ২০১৮ অর্ডার অব দ্য জায়েদ মেডেল (আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স), ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ হাই র্যাংক পিস অ্যাওয়ার্ড (ইথিওপিয়ান অর্থোডক্স চার্চ), ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ অর্ডার অব কিং আবদুল আজিজ (সৌদি আরব), নভেম্বর ২০১৮ আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত (টিপারেরি পীস কনভেনশন), ১ ডিসেম্বর ২০১৮ প্রভাবশালী ১০০ আফ্রিকান (নিউ আফ্রিকান ম্যাগাজিন), ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ আফ্রিকান অব দ্য ইয়ার (দ্য আফ্রিকান লিডারশীপ ম্যাগাজিন), ১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব (টাইম ম্যাগাজিন), ১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০০ বৈশ্বিক চিন্তাবিদ (ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন), ১ জানুয়ারি ২০১৯ বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব (AfricaNews.com), ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ আফ্রিকান এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ফর জেন্ডার (আফ্রিকান ইউনিয়ন), ৯ মার্চ ২০১৯ হিউম্যানিটারিয়ান এন্ড পিস ম্যাকার অ্যাওয়ার্ড (আফ্রিকান আর্টিস্ট পিস ইনিশিয়েটিভ), ২ মে ২০১৯ ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার (ইউনেস্কো), ২৫ মে ২০১৯ পিস অ্যাওয়ার্ড ফর কন্ট্রিবিউশান অব ইউনিটি টু ইথিওপিয়ান মুসলিমস (ইথিওপিয়ান মুসলিম কমিউনিটি), জুলাই ২০১৯ চ্যাথাম হাউস প্রাইজ ২০১৯ মনোনীত (চ্যাথাম হাউস), আগস্ট ২০১৯ বিশ্ব পর্যটন পুরস্কার ২০১৯ (বিশ্ব পর্যটন ফোরাম), আগস্ট ২০১৯ হেসিয়ান শান্তি পুরস্কার (স্টেট অব হেজেন), সেপ্টেম্বর ২০১৯ PHC লিডারশীপ অ্যাওয়ার্ড (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা), সেপ্টেম্বর ২০১৯ আফ্রিকান এসোসিয়েশন অব পলিটিকাল কনসালটেন্ট অ্যাওয়ার্ড (APCAfrica) এবং ১১ অক্টোবর ২০১৯ নোবেল শান্তি পুরস্কার (নোবেল ফাউন্ডেশন) লাভ করেন।
এনএস/