ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

জাপানে ৬০ বছরের সবচাইতে ভয়াবহ টাইফুনে নিহত ১৯

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১২:৪৭ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

জাপানে আঘাত হানা এক ভয়াবহ টাইফুনে অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এখনও পর্যন্ত খোঁজ নেই বহু মানুষের।

গত ৬০ বছরে দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় মনে করা হচ্ছে এটিকে। শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে জাপানের বিভিন্ন এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

ঝড়ের চেহারা যে ভয়ংকর হতে চলেছে, তা আগেই অনুমান করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। আর সেই আশঙ্কা সত্যি করেই কর্কশ চেহারা নিয়েছে টাইফুন হাগিবিস।

শনিবার জাপানে আছড়ে পড়ে সেই টাইফুন। ইচিহারা শহরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে বলে জানা গেছে। ১২ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত আরও ৮৯টি বাড়ি। তোমিওকা শহরে কয়েকজনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই শহরে ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চারটি বাড়ি। সেখান থেকে ছ’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। গোতেম্বা শহরে এক ব্যক্তি ঝড়ের ধাক্কায় ড্রেনে ভেসে গেছে।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজু দ্বীপে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভূমিধস আঘাত হেনেছে। স্থানীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, টোকিও উপসাগরে পানামার একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এতে ১২ ক্রু সদস্য ডুবে মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজন মিয়ানমারের, সাতজন চীনের এবং দু'জন ভিয়েতনামের নাগরিক।

রোববার সকালে ঝড় কিছুটা দুর্বল হলেও তার জেরে ধ্বংস কিছু কম হয়নি। বাতিল করতে হয়েছে রাগবি বিশ্বকাপের আরও একটা ম্যাচ। প্রবল বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে জাপানের নাগানোতে। চিকুমা নদীর জলোচ্ছ্বাসের জেরে আশপাশের এলাকা জলমগ্ন। বাড়ির তিনতলা পর্যন্ত উঠে গেছে বন্যার পানি।

উল্লেখ্য, এই মৌসুমে জাপানে এটি ১৯ তম টাইফুন। গত বছরেও ভয়ঙ্করতম সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েছিল জাপান। মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। কিন্তু এবার যেন কোনও প্রাণহানি না হয় সেজন্য আগে থেকেই কোমর কষে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাপানের নানান বিভাগ। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে ‘হাগিবিস’ এর মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।