ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পদ হারাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১১ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

মুকুট হারাতে পারেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান! বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, যুবরাজের বিকল্প খুঁজছে রাজপরিবার। কয়েকটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বেশ কয়েকটি ঘটনার কারণে সৌদির রাজপরিবারে ক্রাউন প্রিন্সকে নিয়ে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর মধ্যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশটির দুটি গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রে হামলার পর রাজপরিবারের কিছু সদস্য এবং ব্যবসায়িক মিত্র তার নেতৃত্বের হতাশা প্রকাশ করেছেন। বলা হচ্ছে, এটি কীভাবে সম্ভব যে হামলাটি কোথা থেকে হয়েছে, তা শনাক্ত করা গেল না এটি কিভাবে সম্ভব।

সূত্র জানায়, যুবরাজের নেয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্তের কারণে রাজ পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তার নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপকভাবে চাপা অসন্তোষ রয়েছে। রাজপরিবারের কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, যুবরাজের প্রতি তাদের কোনও আস্থা নেই। সালমান রাজপরিবারকে সুরক্ষা দিতে পারবেন না। এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন তারা।

তবে যুবরাজের অনেক সমর্থক রয়েছেন। তাদের একটি সূত্র জানায়, একজন সম্ভাব্য শাসক হিসেবে সাম্প্রতিক ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে তার ওপর ক্ষতিকর কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানি রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

যুবরাজের সমর্থক মহলের আশা, বাদশাহ সালমান জীবিত থাকাকালীন যুবরাজ সালমানের মুকুট হারানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বাদশাহ সালমানের বর্তমানে ক্রাউন প্রিন্সের বিরোধিতা করা রাজপরিবারের পক্ষে অসম্ভব। এমনটাই বলছেন সৌদি আরবের ভেতরের লোকজন ও পশ্চিমা কূটনীতিকরা।  

তবে তার বিকল্প হিসেবে বড় ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজের (৭৭) ভাবা হচ্ছে এমন গুঞ্জনও রয়েছে। বাদশাহ সালমানের পর পরবর্তী উত্তরাধিকারী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বিন সালমানকে এখন দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তিনি দেশটির রক্ষণশীল ভাবধারায় যথেষ্ট পরিবর্তন এনেছেন। ফলে খুব অল্প সময়েই সৌদি তরুণ-তরুণীদের কাছে তার কিছুটা জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বহু মানুষের চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে রাজকীয় ফরমানের মাধ্যমে মুহাম্মদ বিন নায়েফকে তার সব পদ থেকে অপসারণ করে তার সব ক্ষমতা মুহাম্মদ বিন সালমানকে দেয়া হয়। ১৯৮৫ সালের ৩১ আগস্ট জন্ম নেয়া এই সৌদি যুবরাজকে পৃথিবীর সবচেয়ে কমবয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলা হয়ে থাকে। তিনি আল সৌদ রাজদরবারের প্রধান এবং অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তার পিতা বাদশাহ সালমানের পরেই তার ক্ষমতা বিবেচনা করা হয়।