ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আবরার হত্যার সময় ‘হইচই’ টের পায়নি পুলিশ: ডিএমপি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ওপর নির্যাতনের সময় পুলিশের টহল টিম আশেপাশে থাকলেও কোনো ধরনের ‘হইচই’ টের পায়নি বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।

আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঘটনার রাতে বুয়েটে পুলিশের কোনো টহল টিম ছিল কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ৩টা পর্যন্ত বুয়েট এলাকায় পুলিশের একটি টিম টহল দেয়। কিন্তু তারা এ সময় কোনো হইচইয়ের শব্দ পাইনি।’ যদিও, ওই রাতেই আবরারকে হত্যা করা হয়। 

তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৯ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের জবানবন্দিতে বলা হয়, মূলত শিবির সন্দেহেই আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

আগামী নভেম্বরের শুরুর দিকেই এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হবে। ওই মাসেই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলেও জানান ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে দিল্লির সাতটি সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। 

এরই জের ধরে গত ৬ অক্টোবর মধ্যরাতে আবরারকে ৬ ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ওই দিন ভোরে আবরারের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা।

পরে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আসামিদের সনাক্ত করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। 

অপরদিকে, অভিযুক্তদের বহিষ্কারসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জড়িতদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বুয়েট প্রশাসন। 

আই/