ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

৫৬ প্রাণ নেয়ার পর থামছে হেগিবিস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৬:৩৯ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

হাগিবিসের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় নাগামোর কয়েকটি ডুবন্ত বাড়িতে সাহায্যার্থে জাপানি হেলিকপ্টার।

হাগিবিসের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় নাগামোর কয়েকটি ডুবন্ত বাড়িতে সাহায্যার্থে জাপানি হেলিকপ্টার।

ভয়াবহ টাইফুন হাগিবিসের দাপটে বিপর্যস্ত জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে নেমেছে ধস। পাড় ভেঙে জনবসতিতে ঢুকে পড়েছে নদী। এখনও পর্যন্ত হাগিবিসের শিকার হয়েছেন অন্তত ৫৬ জন। আহতের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসেবে নিখোঁজ অন্তত ১৫ জন।

আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছে চ্যানেল নিউজ এশিয়া (সিএনএ)।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যার দিকে রাজধানী টোকিয়োর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইজ়ু উপদ্বীপ সংলগ্ন হনসু দ্বীপের কাছে আছড়ে পড়ে হাগিবিস। ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে অন্তত ৪৮টি জায়গায় ধস নেমেছে। ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি। ভেঙে গিয়েছে চিকুমা-সহ ন’টি নদীর পাড়। গ্রেটার টোকিয়ো এলাকায় জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা।

আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়, সোমবার সকাল থেকেই শক্তি হারাতে শুরু করেছে হাগিবিস। কমছে হাওয়ার দাপট। আবহবিদদের দাবি, ক্রমশ শক্তিক্ষয় করে হাগিবিস নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সরতে শুরু করেছে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলের দিকে। কিন্তু মধ্য জাপানের নাগানোর অবস্থা এখনও গুরুতর। সেখানে বাড়ির দোতলাতেও পৌঁছে গিয়েছে জল। প্রায় ডুবে গিয়েছে নাগানোর কাছে বুলেট ট্রেনের ইয়ার্ড। 

এদিন মন্ত্রিসভার প্রধান সচিব ইয়োশিহিদে সুগা জানান, হাগিবিসের দাপটে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে অন্তত ১৪ হাজার বাড়িতে। জাপানের মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় আজ সকালেও ব্যাহত ছিল ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল পরিষেবা। ইচিয়ারা ও চিবা এলাকায় ৭০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাপান পুলিশের ১ লক্ষ ১০ হাজার জনের বাহিনী, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উপকূল রক্ষী বাহিনী। ২৭ হাজার সেনা রওনা দিয়েছে নাগানো-সহ বিভিন্ন এলাকায়।

উল্লেখ্য, ফিলিপিন্সের ভাষা তাগালাক থেকে ‘হাগিবিস’ শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ ক্ষিপ্র গতি।

এসি/এনএস