ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মোংলায় সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণ

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

মোংলায় সরকারি জমি (ভিপি সম্পত্তি) দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাইনমারী এলাকার জনৈক অনাদি মন্ডল দীর্ঘ দুই বছর ধরে এ ভবন নির্মাণ করছেন। 

স্থানীয়রা জানান, পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে দুই বছর আগে এ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সরকারি জমিতে এ ভবন গড়ে তোলা হলেও ভূমি অফিস থেকে কোনো বাধা আসেনি বলেও স্থানীয়রা জানান। তবে, ভবন নির্মাণকারী অনাদি মন্ডলও জানতেন এটি সরকারি জমি। তাহলে কেন বেআইনীভাবে এ কাজ করছেন জানতে চাইলে বলেন, ‘এটি উপজেলার ভূমি অফিসের সবাই জানেন’। 

এ ব্যাপারে মোংলা সদর ইউনিয়ন নায়েব (তহসীলদার) পবিত্র কুমার দাবি করেন, ‘আমি জানতাম অনাদি মন্ডল সরকারি ওই জমির খাজনা দিয়েছেন। তবে ভবন নির্মাণের কোনো খবর জানতাম না’। সরকারি খাজনাকৃত জমিতে কোনো বহুতল ভবন বা বিল্ডিং গড়ে তোলা যাবে না বলেও নায়েব পবিত্র জানান। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সরেজমিনে উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী এলাকা গিয়ে দেখা যায়, পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের ওপর কেবল ভিম ও পিলার বসিয়েছেন অনাদি মন্ডল। দুই বছর ধরে এটি করতে তার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তিনি জানান। 

অনাদি বলেন, জমি বাবদ সরকারি কোষাগারে খাজনা দেয়া হয়েছে। এটা ভূমি অফিসের সবাই জানে। তবে বিল্ডিং করা যাবে কিনা সেটি জানতেন না বলে দাবি করেন তিনি। 

এ ব্যাপারে মোংলা সদর ইউনিয়ন নায়েব (তহসীলদার) পবিত্র কুমার জানান, মোংলা উপজেলার কাইনমারী মৌজায় ৮৩/ ৭৩, ৭৪ নং ভিপি লিজ কেস জমিটির মালিকানা সরকার। এ জমি দুস্থ অসহায় মানুষ আবেদন করলে তাদেরকে বসবাস বা কৃষি কাজে বন্দোবস্ত দেয়া হয়। তবে কেউ বিল্ডিং নির্মাণ করতে পারবে না। 

তিনি বলেন, সরকারি ওই জায়গায় অনাদি মন্ডল নামে এক ব্যক্তি ভবন গড়ে তুলছে বলে অভিযোগ আসায় বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ওই বিল্ডিং বেআইনীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে মর্মে উচ্ছেদের জন্য এসিল্যান্ড বরাবর রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। 

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রাহাত মান্নান বলেন, সরকারি জমিতে কেউ ভবন করতে পারবে না, এটি বেআইনি। ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে তা উচ্ছেদ করা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি। 

আই/