ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অভিজিৎ ব্যানার্জির মায়ের সঙ্গে দেখা করলেন মমতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গেলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোবেলজয়ীর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে মত বিনিময় করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার বিকালে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে অভিজিতের বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।  

অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে এ বছর নোবেল জিতেছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈশ্বিক দারিদ্র্য লাঘবে অবদান রাখায় এ বছর অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান তার স্ত্রী এস্থার দুফলো এবং মাইকেল ক্রিমার।

সোমবার নোবেল প্রাপক হিসেবে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা হয়। তারপরই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলাদেবীকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাকে গর্বিত করার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।

নোবেল জয়ের পর অভিজিৎকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, অভিজিৎ ব্যানার্জিকে হৃদয়পূর্ণ অভিনন্দন, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। আরও এক বাঙালি দেশকে গর্বিত করেছেন। আমরা খুবই আনন্দিত।

অভিজিতের বাড়িতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা প্রতিভাবান লোকজনের জায়গা। যদি আপনারা খুঁজে দেখেন, তাহলে দেখবেন, প্রায় সব প্রতিভাবানের সঙ্গে বাংলার মাটির যোগ রয়েছে।

গ্রামীণ এলাকায় কীভাবে কাজ হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চান নির্মলা ব্যানার্জি। মমতা জানান, যারা সরকারি প্রকল্পের আওতায় আছেন, তারা তো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেনই। বাইরের লোকেরাও সেই সুবিধা পান। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, সবুজ সাথীসহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত, কৃষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের কাজ নিয়েও আলোচনা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অভিজিৎ দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। লিভার ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক অভিজিতের সঙ্গে ওর যোগাযোগ ছিল। ওরা দু’জনে বীরভূমে গিয়ে কোয়াক চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু ঠিক করে দেওয়া যায়, সেই কাজ করেছেন। এটা আমাদের গর্বের বিষয়।

মমতা জানান, দক্ষতা ও যোগ্যতার জন্যই অভিজিকে প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপে রাখা হয়েছিল। রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে অভিজিৎকে কাজে লাগানো হবে।

প্রসঙ্গত, অভিজিৎ সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকেই ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন অভিজিৎ। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ফোর্ড ফাউন্ডেশন অধ্যাপক পদে বর্তমানে কর্মরত আছেন তিনি।