শরণখোলায় মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, সুপার গ্রেফতার
বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:৩৬ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বাগেরহাটের শরণখোলায় এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর ধর্ষণ মামলায় মাদরাসা সুপার ইলিয়াস হোসেনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাফেজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার এবং একই উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট মাদরাসার লাইব্রেরীতে ডেকে নিয়ে ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে ইলিয়াস হোসেন। এসময় শিক্ষার্থীকে বিষয়টি তার মা-বাবাকে না জানানোর ভয়ও দেখায় সে। পরে ছাত্রীটির রক্তক্ষরণ হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই সুপার মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে বলে তার পিতা মাতাকে জানায়। শিক্ষার্থীকে সুস্থ করতে নিজেই ঝাড়ফুক ও পানি পড়া দেয় ওই সুপার । কিন্তু তাতেও সুস্থ না হওয়ায় সুপারের পরামর্শে মোরেলগঞ্জ উপজেলার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে ছাত্রীটির বাবা-মা।
সিড়ি থেকে পড়ে যাওয়া আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ নয়, অন্য কারণও থাকতে পারে বলে চিকিৎসকরা পরিবারকে জানিয়ে দেয়। পরে ১৯ আগস্ট রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন নামের ওই সুপারের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় মামলা করেন। মামলার পরে সুপার গা ঢাকা দেয়।
থানা পুলিশ আসামিকে আটক করতে না পারায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট জেলা পিবিআই মামলা টেক ওভার করে এবং পিবিআই'র এসআই সাইয়েদ এর তদন্ত শুরু করেন।
পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা মামলাটি টেক ওভার করার পরে পলাতক আসামি ইলিয়াস হোসেন দফায় দফায় তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তিনি বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করতে থাকেন। ঢাকা, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় ইলিয়াস হোসেনের অবস্থান সনাক্ত করে কাটাখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তাকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।
এনএস/