৫ স্ত্রীর জন্য ৫০ নারীর সঙ্গে প্রতারণা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার
সামনে বসা দুই প্রতারক
একজন দুইজন নয়, ঘরে রয়েছেন এক এক করে পাঁচ পাঁচজন স্ত্রী। কিন্তু এত লোকের ভরণপোষণের জন্য নেই কোন সুনির্দিস্ট আয়ের উপায়। আর তাইতো প্রতারণায় নামতে হয় পাঁচ জায়ার একমাত্র পতিকে। এ কাজে দিলশাদ খান নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গী হন অলোক কুমার নামে আরেকজন। একত্রে মিলে ৫০ নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তারা।
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। দেশটির গণমাধ্যম বলছে, প্রদেশটির স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অনুসন্ধানে নেমেই খোঁজ পায় ওই প্রতারক চক্রের। যে চক্র চাকরির নাম করে অন্তত ৫০ জন নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাদেরকে ভুপালের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে (এমস) চান্স পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচুর টাকা নেয়া হয়।
আর এমন অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে এসটিএফ। এরপরই চক্রের মাথা দিলশাদ খানকে গ্রেফতার করে তারা। দিলশাদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। দিলশাদ ছাড়াও ভুপাল থেকে অলোক কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
এসটিএফ-এর এডিজি অলোক অবস্থি বলেন, এই চক্রটি ৫০ জনের বেশি নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে। প্রতারণার শিকার ওই নারীদের সবাইকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় নার্স হিসেবে ভুপাল এমসে চাকরি পাইয়ে দেয়া হবে বলে।
তদন্তে জানা গেছে, দিলশাদ খানের স্ত্রীর সংখ্যা পাঁচজন। জিজ্ঞাসাবাদে দিলশাদ জানিয়েছেন, ওই স্ত্রীদের ভরণপোষণের জন্য তিনি প্রতারণা করতে শুরু করেন। দিলশাদের এক স্ত্রী জব্বলপুরে একটি ক্লিনিক চালান। সেই সুবাদেই সেখানে চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রতারণা জুড়ে দেন তিনি। আর ওপর অভিযুক্ত অলোক কুমারের স্ত্রী একটি সরকারি গার্লস হোস্টেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট।
তবে এই দুই অভিযুক্তের স্ত্রীরা প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন বলে দাবী করেন। যদিও এই প্রতারণার সঙ্গে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও ভূমিকা ছিল কি না- তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী ওই কর্মকর্তা।
এনএস/