শিশু নির্যাতন ও হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির হুশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার
সরকার শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখী করা হবে। শিশুদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় আরো বেশি মনযোগী হতে হবে।
আজ শুক্রবার বিকেলে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকদের নির্মম গুলিতে প্রাণ হারান শহীদ রাসেল। স্বপ্ন ছিল আর্মি হয়ে দেশের সেবা করবে সে। কিন্তু ঘাতকদের গুলিতে তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এসময় রাসেলর সঙ্গে বিভিন্ন স্মৃতি মনে করে কেঁদে ফেলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রজম্মের পর প্রজন্ম যাতে সুন্দর একটি সমাজ পায় সে লক্ষ্যে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শিশুদের অধিকার রক্ষায় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালে শিশু অধিকার আইন পাস করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে ১৫ আগস্টের খুনীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চাইলেও তা করতে দেয়া হয়নি। বরং অপরধারীদের বিচার না করে পুরুস্কৃত করা হয়। এমনকি এ হত্যকাণ্ডের কোনো বিচার হবেনা বলেও আইন পাস হয়।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ১৫ আগস্ট পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা নিজের সম্মদ অর্জন ও ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই ব্যস্ত ছিল। বঞ্চিতদের নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা ছিলনা।
শেখ হাসিনা বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিশু-কিশোরদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলো হচ্ছে। দেশের সকল শিশুর অধিকার নিশ্চিতে করছে সরকার। ১৯৮৯ সালে শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখান থেকে অসংখ্য শিশু বড় হয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। এখানকার প্রতিটি ছেলে-মেয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় আজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শিশুর মাঝে সুপ্ত চেতনা আছে। এটাকে বিকশিত করতে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে হবে। সবসময় ন্যায়ের পথে চলতে হবে। সমাজের দরিদ্র, প্রতিবন্ধি ও এতিমদের প্রতি সদয় আচরণ করতে হবে। তাদেরকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। তাহলেই আমরা একটি মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
আই/আরকে