ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মোংলায় অডিট অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

উপজেলা অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্র।

উপজেলা অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্র।

মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের বেতন উঠানোর ক্ষেত্রে উপজেলা অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্র সাড়ে চার লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার একটি স্বাক্ষকেরর বিনিময়ে এই টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। অন্যথায়, শিক্ষকরা ব্যাংক থেকে তাদের বেতন তুলতে পারবে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোংলা সরকারি কলেজের একাধিক শিক্ষক সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন।

শিক্ষকরা জানান, মোংলা কলেজ এমপিওভুক্ত (মান্থলি প্রেমেন্ট অর্ডার) থাকাকালীন শিক্ষকরা বেতন তুলতেন রূপালী ব্যাংক থেকে। এজন্য কাউকে ঘুষ দেওয়া লাগত না। পরে কলেজটি সরকারিকরণ হলে তখন তাদের বেতন আসে সোনালী ব্যাংকে। আর শিক্ষকদের এ বেতন তুলতেই বাধা হয়ে দাঁড়ান উপজেলা হিসাবরক্ষণ বিভাগের অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্র। মাস শেষে শিক্ষকরা বেতন তুলতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে নিয়ে যেতেন তার কাছে। কারণ তার একটি স্বাক্ষর (সই) না হলে সরকারি বেতন উঠানো যাবে না। তাই স্বাক্ষরের বিনিময়ে নিরূপায় হয়ে প্রত্যেক শিক্ষকরা তাকে ২০ থেকে ২৫ হাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা ঘুষ দেন। এ বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম বেতন তুলতে নিখিল চন্দ্রকে ঘুষের এ টাকা দেওয়া হয় বলেও শিক্ষকরা জানান। 

এ বিষয়ে অডিট অফিসার নিখিল চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। কোনও টাকাই নেননি বলে তিনি জানান। পরে তিনি বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টা আমার কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান স্যারও জানেন। পরক্ষণেই মোবাইল ফোনে নিখিল চন্দ্র ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের না বলতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন। শিক্ষকরাই আবার এ বিষয়টি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন।

এদিকে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ হাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্বাস করেন আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে নিখিল চন্দ্র শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণ দিলে ব্যবস্থা নেব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক কর্মকর্তা জানান, নিখিল চন্দ্র অডিট অফিসার হিসেবে ২০১৭ সালে মোংলা উপজেলা হিসাব বিভাগে যোগদানের পর নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে কেউ এর তদন্ত করেন না। তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।