‘দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে থাকার অভিযোগ সত্য নয়’
হাবিপ্রবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০১:১৩ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার
দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে থাকার অভিযোগকে সত্য নয় বলে দাবি করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান। তিনি পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক এবং মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে হাবিপ্রবিতে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে।
অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, হাবিপ্রবি থেকে ৩ বছরের জন্য লিয়েন নিয়ে আমি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম। লিয়েনে থাকাকালীন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলাম। ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আমার লিয়েন শেষ হয়। এরপরে আমি হাজী দানেশে ফিরে আসি। আমি দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার দুদিন পর ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড.সৈয়দ আনোয়ার হোসেনকে ডিনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখনকার কোনও পদে আমি নেই। বন্ধের দিনগুলোতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের কাছে বন্ধের দিনে আমাকে কাজ করার অনুমতি দিতে অনুরোধ জানায়। আমি তখন অনুমতি চাইলে আমাকে শুধু ছুটির দিনে অফিস করার জন্য অনুমতি দেয়। তখন আমি বন্ধের দিনগুলোতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। মাঝেমধ্যে ডিন অসুস্থ বা অনুপস্থিতে উপাচার্য মহোদয় ডিনের কোনও কাজ বাকি থাকলে সেগুলো করার জন্য বললে তখন আমি সে কাজগুলো করতাম (স্বাক্ষর)।
গোলটেবিল আলোচনায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিন হিসেবে যোগদানের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৭ আগস্ট ঢাকায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডিনদের নিয়ে কাউন্সিল হয়েছিল। ওইদিনে (২৭ আগস্ট) বিকাল ৩টায় প্লানিং কমিশনের একটি মিটিং ছিল সেখানে। আমি হাবিপ্রবির প্লানিং ডিরেক্টর হিসেবে সেই মিটিং এর জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। সে সময় আমাকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয় ফোন দিয়ে বলেন, মোস্তাফিজ সাহেব আপনি তো ঢাকায় আছেন, আমাদের ডিন মহোদয় শারীরিকভাবে অসুস্থ। আপনি তো এখানে অনেক দিন ধরে ডিনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং যেহেতু ঢাকায় আছেন তাহলে একটু মিটিং এ যাইয়েন। ওনার রিকুয়েস্টের কারণে আমি সেদিন ওই মিটিং এ গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসরও ছিলেন।
ওয়েবসাইটে ডিন পদে নাম থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওয়েবসাইট আপডেট করা না হলে আমি কি করবো, সেখানে তো আমার কিছু করার নাই। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিষয়। যাচাই করার জন্য গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://www.gonouniversity.edu.bd/ ঢুকার চেষ্টা করা হলেও ঢুকা যায়নি। তবে বর্তমানে তার নাম নেই বলেও তিনি জানান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লায়লা পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওনি হাজী দানেশে অনুমতি নিয়ে আমাদের এখানে পার্ট টাইম (শুক্র-শনিবার) অফিস করেন। এটা ওনার অনুমতি আছে। মেয়াদ শেষে তিনি হাজী দানেশে চলে যাওয়ার পর আমরা অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনকে ভেটেরিনারির ডিন করে দিয়েছি। আর ২৭ আগস্ট কোনও একটা কাজে ওনি ঢাকায় ছিল। তখন ওনাকে বলা হয় আমাদের ডিন অসুস্থতার জন্য যেতে পারবেন না, আপনি একটু এটেন্ড করেন করিয়েন মিটিং এ। তখন তিনি এটেন্ড করেন।
তিনি আরও বলেন, ওনি অনেক ভালো মানুষ। ওনি কোনও পলিটিক্যাল মানুষ না। ওনি একজন ভালো একাডেমিশিয়ান এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিও বটে।
এ ব্যাপারে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, ছুটির দিন কে কি করবেন সেটা তো তার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে কথা বলার প্রশ্নই আসে না। আমি নিজেও তো ছুটির দিনে বাসায় অনেক কাজ করি। অনেকেই তো অফিস টাইমের বাহিরে এবং ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন কাজ করে থাকেন তাহলে সেটা কি অন্যায়?