ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা সাকিবদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১২ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৫:২৫ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। দাবি না মানা পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দলসহ বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেটাররা। বেতন বৃদ্ধিসহ ১১টি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তারা সোমবার দুপুরে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমসহ আরও অনেক ক্রিকেটার। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে বিশ্বকাপ আছে, তাই তাদেরকে এই ধর্মঘটের আওতায় রাখা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাকিব।

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, বিপিএল, ডিপিএল কিংবা ঘরোয়া ক্রিকেটে আমাদের পারিশ্রমিক আগের মতো বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় খেলতে যাচ্ছি, টিম হোটেলে থাকছি। নূন্যতম আমাদের যাতায়াতের ভালো ব্যবস্থা রাখা উচিত। হোটেলের জিম ব্যবস্থা, সুইমিং পুল ব্যবস্থা থাকতে হবে। এটা একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই নিয়ে বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্রিকেট পাড়া, চাপা উত্তেজনাও কাজ করছে বিসিবিতে। সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, ইমরুল, সৌম্য, মুশফিক, সাইফউদ্দিন, এনামুল বিজয়, মুমিনুল, মিঠুন, জুনায়েদ সিদ্দিকী, নুরুল হাসান সোহান, রনি তালুকদার, শফিউল ইসলাম, তাসকিন, মোস্তাফিজরা।

এ সময় তামিম জানান, আমরা শুধু ক্রিকেট নিয়েই পড়ে থাকি। কিন্তু যদি একজন গ্রাউন্ডসম্যানের পারিশ্রমিকের কথা বলেন, সেটা কিন্তু বাড়ানো হচ্ছে না। তাদের মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমরা বাংলাদেশি কোচ প্রমোট করতে পারছি না। যেখানে বিদেশি একজন কোচের পারিশ্রমিকের সমান বাংলাদেশের ২০ জন কোচ। এছাড়া, দেশি একজন কোচের পারফর্ম ভালো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাকে পরের ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয় না।

সোমবার দুপুরেই গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, অসন্তোষসহ দেশের ক্রিকেট ঠিকভাবে চলছে না মনে করা ক্রিকেটাররা সোমবার বিকালেই সংবাদ সম্মেলনে আসবেন। আর ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে ধর্মঘটের মতো কর্মসূচির ডাকও আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। এর ফলে জাতীয় দলে আসন্ন ভারত সফর ও ঘরোয়া লিগ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল।

প্রসঙ্গত, গত মাসে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজ-ভিত্তিক প্রথা বাদ দেয়ার ঘোষণা দেয় বিসিবি। এতে পেশাদার ক্রিকেটারদের আয় বিগত সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কমে হবে। পাশাপাশি, চলতি মাসের শুরুর দিকে মাঠে গড়ানো প্রথম শ্রেণির লীগে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি না বাড়ার ফলেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এসব নিয়ে পেশাদার ক্রিকেটাররা গত কয়েক মাস ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ক্রিকেটারদের শোষণ করা হচ্ছে, তাদের আরও ভালোভাবে ‘ট্রিট’করা উচিত।