শব্দের চেয়েও দ্রুত হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্র তৈরির পথে ভারত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৫:১৪ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার
ভারত তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একের পর এক সমৃদ্ধ করে চলেছে। ভারতের প্রতিরক্ষা ভাণ্ডারে রয়েছে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে তৈরি সুপারসনিক প্রযুক্তির ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে আরও দ্রুতগতি ও উন্নত হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করল ভারত। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতেই তারা তৈরি করছে। খবর আনন্দবাজারের
ইতিমধ্যেই এ নিয়ে প্রাথমিক প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। খুব শীঘ্রই রাজনাথ সিংহ এই হাইপারসনিক মিসাইল প্রযুক্তির সূচনা করবেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর।
ডিআরডিও সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এই হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির পরিকল্পনা চলছিল। সেই মতো চলছিল প্রযুক্তিগত গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিআরডিও-র এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, একটি হাওয়ার গহ্বর তৈরি করে প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটিগুলি সুনির্দিষ্ট মাত্রায় নির্ধারিত করার পরেই মিসাইল তৈরির কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘‘উন্নততর যুদ্ধাস্ত্র ব্যবস্থার অন্যতম এই হাইপারসনিক প্রযুক্তি। তাই সেটা নিয়ে খুব গভীর ভাবে গবেষণা করছি।’’
সুপারসনিকের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়? শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন হলে তাকে সুপারসনিক বলা হয়। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এই প্রযুক্তিতেই তৈরি। কিন্তু হাইপারসনিক-এর অর্থ শব্দের চেয়ে পাঁচ গুন বেশি গতিসম্পন্ন। মাইলের এককে ধরলে প্রতি সেকেন্ডে এক মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালাস্টিক মিসাইল (আইসিএমবি) এর চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটতে পারলেও হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ। শত্রুপক্ষও এর অবস্থান কার্যত ধরতেই পারে না। আর কার্যকারিতাও ব্রহ্মসের মতোই বহুমুখী হবে, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ভূমি, আকাশ এবং যুদ্ধজাহাজ তিন প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সক্ষম হবে পরমাণু অস্ত্র থেকে শুরু করে রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র বহনে।
‘নেক্সট জেন’সামরিক অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তোলার প্রতিযোগিতায় ভারত চীন ঠাণ্ডা যুদ্ধ সব সময়ই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য নয়াদিল্লির চেয়ে এক কদম এগিয়েই রয়েছে বেজিং। ইতিমধ্যেই রাশিয়া-আমেরিকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা করেছে চীন। ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের হাবেভাবে স্পষ্ট, চীনা ড্রাগনদের এই চোখ রাঙানি রুখতে তাঁরাও এ বার কার্যত উঠে পড়ে লেগেছেন এই হাইপারসনিক মিসাইল তৈরিতে।
এসি