ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

হাবিপ্রবিতে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত

হাবিপ্রবি

প্রকাশিত : ১১:৩৫ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

‘সুস্থ মেধাবী জাতি চাই, প্রতিদিন ডিম খাই’ প্রতিপাদ্যে ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের আয়োজনে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব ডিম দিবস-২০১৯ পালিত হয়েছে।       

দিবসটি পালন উপলক্ষে সোমবার সকাল ৮ টায় দিনাজপুর চাঁদগঞ্জের এতিম খানার শিশুদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয় । পরে বেলা ১০ টায়  ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ডা.এস এম হারুন-উর-রশিদ এর নেতৃত্বে শিক্ষক, ছাত্রদের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এর সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে  ডিম দিবসের তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

আলোচনা সভায় ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ডা.এস.এম হারুন-উর-রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাসেম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক (বীর মুক্তিযোদ্ধা ),রংপুর বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো.হাবিবুর রহমান ,দিনাজপুর প্রানীসম্পদ দপ্তের ডিএলও ডা. মো. শাহিনুর আলম । অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেইরি এন্ড পল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান  প্রফেসর ড. তাহেরা ইয়াসমিন ।

 ডেইরি এন্ড পল্টি সায়েন্স বিভাগের  সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান মিঠু  এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড.মু.আবুল কাসেম বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং  তার অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের কৃষিতে অভূতপুর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে । যে উন্নয়ন হয়েছে  তাতে কৃষিতে আর উন্নয়ন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তবে লাইভস্টকে আরও উন্নতি করা দরকার আছে বলে মনে করি। আমি নিজে একজন কৃষিবিদ মানুষ । তাই কৃষির প্রতি আমার অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে। কৃষকদের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দেয়ার জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মার সার্ভিস সেন্টার এবং  গবাদিপশু-পাখির সেবাদানের জন্য ভেটেরিনারি মোবাইল ক্লিনিক চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা সেটি পেয়ে যাবো । তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর  অবদানের জন্য কৃষিবিদ্গণ ক্লাস ওয়ান এর মর্যাদা পেয়েছে । কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর যে  অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরনীয় ।  

ডিম খাওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে উপাচার্য বলেন,  ডিম একটি আদর্শ খাবার যাতে প্রায় সকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রাণিষ আমিজের চাহিদা পূরণ ও সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া দরকার ।

সভাপতি তার  বক্তব্যে বলেন, গ্রামের অনেক মানুষ আছে যারা সারা বছর এক কেজি মাংসও খেতে পারে না। ঘাটে-মাঠে আমরা অনেকে চা-পানি খাই কিন্তু আমরা যদি ঐ টাকা দিয়ে একটা করে ডিম খেতে পারি তাহলে বেশি উপকৃত হতে পারবো আমরা । এই সচেতনতা গ্রামে-গঞ্জের মানুষের কাছে পৌছানো দরকার । আমার অপরাধবোধ কাজ করছে যে কেন আমরা এই সেমিনারটি গ্রামে-গঞ্জে করতে পারলাম না। আমি আশাকরি এবং প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে আগামীতে আমরা এটি করতে পারবো ।

তিনি আরও বলেন,লাইভ স্টকে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে । মাননীয় উপাচার্য মহোদয় অনেক কাজ করছেন আশাকরি আগামীতেও তিনি কাজ করবেন । তিনি যদি একটি ভেটেরিনারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এখানে করে দিয়ে যেতে পারেন তাহলে সেটা হাবিপ্রবি’র জন্য বড় সাফল্য হবে বলে আমি মনে করি ।