ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নির্ধারিত সময়েই ভারত সিরিজ: পাপন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৪ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৪৫ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার

১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ডাকা ধর্মঘটে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়েছে আসন্ন ভারত সিরিজ নিয়ে। আগামী ৩ নভেম্বর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে ভারত মিশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাকিবদের ধর্মঘটের কারণে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

তবে, সে শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, আসন্ন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ নির্ধারিত সময়েই হবে। 

তিনি বলেন, আসন্ন সিরিজকে ঘিরে নির্দিষ্ট সময়ে ক্যাম্প শুরু হবে। সিরিজ বাতিল করার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান পাপন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টায় বিসিবিতে ডাকা জরুরি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে বিসিবি প্রধান এসব কথা জানান। 

বিসিবি সভাপতি বলেন, যারা এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই না বুঝে যোগ দিয়েছেন। আমাদের অনেক খেলোয়াড়ই খেলতে চায়, ক্রিকেটের উন্নতি চায়। কোনো কিছু না জানিয়ে ভারত সফরের আগে হঠাৎ ধর্মঘট পূর্ব পরিকল্পিত। যারা এর সঙ্গে যুক্ত, শিগগিরই তাদের বের করা হবে। তাদের এ ধর্মঘট দেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলে মনে করছেন তিনি। 

ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টিকে পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে পাপন বলেন, ‘ক্রিকেটারদের ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি  বিস্মিত করেছে। আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমাদের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে এমন কিছু আসতে পারে।’

তিনি বলেন, যে কোনো সমস্যা নিয়ে ক্রিকেটাররা সাধারণত বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু আকস্মিকভাবে এমন কি হলো যে ধর্মঘট ডাকতে হবে! খেলোয়াড়রা আমাদের না জানিয়ে বিষয়গুলো সাংবাদিকদের জানিয়েছে, এতে আমি যারপরনাই বিস্মিত। সব মিলিয়ে আমি ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ওদের যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে তা তো আমাকেই বলার কথা। ওদের বেতন বাড়িয়েছি। বিশ্বকাপের পর ২৪ কোটি টাকা বোনাস দিয়েছি। এরপরও টাকার জন্য তারা খেলা বন্ধ করে দেবে? ওদের সুবিধা বাড়ানো ছাড়া তো কিছু করিনি। 

কিন্তু টকশো মিডিয়ার খবরে মনে হয়েছে ওদের আমরা শেষ করে ফেলেছি। এতো সম্পর্ক থাকার পরেও আমাদের কিছু বললো না কেন। এটা অবশ্যই পূর্বপরিকল্পিত।

খেলা বয়কট প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছিনা দাবিগুলোর সঙ্গে খেলা বন্ধ করার কী সম্পর্ক। তারা যদি না-ই খেলে তাহলে লাভটা কী? কারও বক্তব্য থাকলে আসুন আমরা কথা বলি। কিন্তু খেলা বন্ধ হবে কেন? খেলাই যদি না হয় তাহলে কিসে কি হবে? এটা অবশ্যই খেলাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র! এটা আজ হোক কাল, অপেক্ষা করেন অবশ্যই সব জানতে পারবেন।

এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) জাতীয় লিগের পারিশ্রমিক বাড়ানো, কোয়াবের বর্তমান কমিটির পদত্যাগসহ ১১টি দাবি তুলে ধরেন সাকিব-মুশফিক-নাঈমসহ দেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। সংবাদ সম্মেলনে ১০ জন ক্রিকেটার ১১টি দাবি তুলে ধরেন।

আই/এসি