জয়পুরহাটে জামায়াত-শিবিরের ৬১ নেতা-কর্মী কারাগারে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২১ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার
জয়পুরহাটে পুলিশের দায়ের করা হত্যা ও নাশকতার মামলায় জামায়াত শিবিরের ৬১ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ ইকবাল বাহারের আদালতে অত্মসমর্পণ করেন তারা। পরে এক শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কোশলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ৬১ আসামির জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর হত্যা ও নাশকতার অভিযোগে জয়পুরহাট সদর থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক মামলাটি দায়ের করেছিলেন। অধিকতর তদন্তের পর গত ২০ জুন ৯৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর হরতাল চলাকালে লুটপাট করার উদ্দেশ্যে জয়পুরহাটের পুরানাপৈল বাজারের কৃষি ব্যাংকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে হামলা করে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ র্যাব ও বিজিবি’র টহল দল বাধা দিতে গেলে তারা তীর ধনুক নিয়ে র্যাব-পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
পরে তারা পুরানাপৈল ইউনিয়নের হালট্টি এলাকায় জনৈক বেলালের মিল-চাতালে সমবেত হয়। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে তারা মসজিদের মাইকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে হত্যার হুমকি দিয়ে অন্যান্য নেতাকর্মীদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান।
তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জামায়াত-শিবিরের কয়েক’শ নেতাকর্মী তীর-ধনুক নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা র্যাব-পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি ছুঁড়লে সেই গুলিতেই তাদের কয়েকজন নিহত হয়।
এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক মমিনুল হক বাদী হয়ে ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরে অধিকতর তদন্ত শেষে জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক কাউছার আলী চলতি বছরের ২০ জুন ৯৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ জানান, এ মামলায় ৯৯ জন আসামির মধ্যে আদালতে ৬১ জন আত্মসমার্পণ করেছেন। তিনজন উচ্চ আদালতে দেয়া জামিনে আছেন। আর দুজন মারা গেছেন। বাকী ৩৩ জন পলাতক রয়েছেন।
আই/এসি