সীতাকুণ্ডে হত্যা মামলার মূল আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৮ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:২৪ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার
ডা. শাহ আলম
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত চাঞ্চল্যকর ডা. শাহ আলম হত্যার মূল আসামি ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড থানাধীন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি অস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, ডা. শাহআলম হত্যার সাথে জড়িত লেগুনা চালক ওমর ফারুককে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ডাকাত দলের মূল হোতা নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু আটকের জন্য সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অভিযানে যায় র্যাব।
তিনি জানান, র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কালু ডাকাত ও তার সহযোগিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে কালু ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং অস্ত্র পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের ছোটকুমিরা গ্রামের মরহুম মাস্টার আজিজুল হকের ছেলে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম সৌদি আরবে দীর্ঘ ৩০ বছর চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি দেশে এসে নিজ বাড়ি ছোটকুমিরায় বেবি কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক খোলেন।
গত ১৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক আড়ইটার সময় কুমিরা রয়েল গেইট এলাকায় তাদের ছিনতাইকারী চক্র ডাক্তার মো. শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তিনি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তারা শাহ আলমকে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর তারা লাশটি কুমিরা ঘাটঘর এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলে দেয়।
পরদিন সকালে ক্লিনিক থেকে মাত্র এক-দেড় কিলোমিটার দূরে ডা. শাহ আলমের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ওমারানা আজমিরী শিকদার কান্তা সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এমবি/