নুসরাত হত্যায় ১৬ জনের ফাঁসি: যা বললেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
এদিন রায় ঘোষণার জন্য সকাল ৯টার দিকে আসামিদের আদালতে নেয়া হয়। আদালত চত্বরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রায়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী বলেন, ‘আমরা এ রায়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। সেই সাথে বলি এই দেশে খুন করলে বিচার হয়। কোনো খুনি কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়ে প্রশ্রয় পায় না। খুনির থেকেও আইনের হাত শক্তিশালী।’
প্রশাসনকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আজকের আমরা এই বিচার প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সাংবাদিক ভাইদের সকলকে আমরা আমাদের অন্তরের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন জানাই।
প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা না দিলে, সহযোগিতা না করলে, তত্ত্বাবধায়ন না করলে, এত তাড়াতাড়ি এই বিচার নিষ্পত্তি সম্ভব হতো না। আজকে আইনের শাসন আছে। অপরাধীরা শাস্তি পায় বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ৮ এপ্রিল তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামীয়া ফাজেল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে তার মা। ২৮ মার্চ সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট এএসএম এমরানের আদালতে নুসরাত তার উপর যৌন নিপীড়নের জবানবন্দি প্রদান করে। একই দিন সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে। পরে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।