ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রায় শুনে এজলাসেই কাঁদলেন আসামিরা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:০৫ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায় শোনার সঙ্গে সঙ্গে আসামিরা এজলাসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তাদের সবাইকে খুব বিমর্ষ দেখা যায়।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ মৃত্যুদণ্ডের এ আদেশ প্রদান করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মানুষের সামনে আনার জন্য সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ। ১৭২ পৃষ্টার রায়ের চুম্বক অংশ পাঠ করেন তিনি।

দণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলেন- মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আব্দুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আব্দুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহ-সভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

এদিন রায় ঘোষণার জন্য সকাল ৯টার দিকে আসামিদের আদালতে নেয়া হয়। আদালত চত্বরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ দিন ধার্য করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ।

গত ১০ এপ্রিল এ মামলা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এ হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৯ জুন পিবিআই ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২৭ জুন হতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ৬১ কার্যদিবসে ৮৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২৪ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।

রায়কে ঘিরে বুধবার রাত থেকে নুসরাতের বাড়িতে পাহারা জোরদার করা হয়। প্রহরায় নিয়োজিত আগের তিনজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে আরও ৯ সদস্যকে যুক্ত করা হয়। আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিত লোকজনও রেজিস্ট্রার খাতায় সই না করে ওই বাড়িতে ঢোকার অনুমতি পাননি। গত ৭ এপ্রিল থেকে বাড়িটিতে পুলিশ পাহারা বসানো হয়। এদিকে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলা সদর ও সোনাগাজীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকি বসানো হয়। এছাড়া র‌্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও টহল দেয়।

 টিআর/