ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বাদাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

বাদাম নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। ফলে শরীরের নানা ঘাটতি পূরণ করে সুস্থ রাখে বাদাম। এ জন্য চিকিৎসকেরা বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দুপুর কিংবা রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ যাই থাকুক না কেন প্রাতরাশে কটা বাদাম রাখবেনই। এই তালিকায় আমন্ড ছাড়াও কাজু বাদাম, পেস্তা, আখরোট, ম্যাকাডেমিয়া, পেকান, পিনাট রাখতে পারেন।

এবার জেনে নেওয়া যাক বাদামের নানাদিক-
* বাদামে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্যাট, সেলেনিয়াম সহ নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। সব ধরনের মেশানো এক আউন্স বা ২৮ গ্রাম বাদাম খেলে তার ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১৭৩ কিলোক্যালরি। কোন বাদামে কার্বোহাইড্রেট বেশি আবার কোনটায় প্রোটিন বেশি। কিন্তু সব রকম বাদামই উপকারী।

• অনেকে মনে করেন বাদামের ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এ ধারণা একেবারেই ভুল। বরং বাদামে থাকা ফ্যাট হাই কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা মোকাবিলা করে। আবার বাদামে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার কারণে হার্টের রোগের আশঙ্কা কম থাকে এবং বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। 

* ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে সাহায্য করে পেস্তা। কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট ব্লক হয়, অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু বাদাম সেই আশঙ্কা অনেকটাই দূর করে। তাই চিকিৎসকরা সময় থাকতে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

• ফাস্ট ফুডের যুগে ওজন বেড়ে যাওয়া এবং ওবেসিটির সমস্যা প্রায় ঘরে ঘরে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, প্রত্যেক দিন অল্প পরিমাণে আমন্ড খেলে তা ওজন কমাতে সহায়ক। তাই ওজন কমাতে নিয়মিত বাদাম খাওয়া জরুরি।

• পেস্তা বাদাম টাইপ-২ ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। নানা সমীক্ষায় বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় পেস্তা। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা বাদাম খেতেই পারেন, তাতে ক্ষতি নয় উপকারই হবে।

• যে কোন আঘাত বা ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন থেকে শরীরে অনেক সময়ে ইনফ্ল্যামেশন হতে পারে। তা বাড়তে থাকলে শরীরের নানা রোগ বাসা বাঁধে। ইনফ্ল্যামেশন কমানোর সবচেয়ে ভাল প্রাকৃতিক ওষুধ হলো আমন্ড, ওয়ালনাট, পেস্তা ও ব্রাজিল নাট।

•  কাজু বাদাম কোলেস্টেরল ছাড়া নার্ভ ও হাড় সুস্থ রাখে। এছাড়া প্রতিদিন কাজু বাদাম খেলে চোখও ভাল থাকবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমার সমস্যাও মোকাবিলা করে কাজু।

মনে রাখবেন, গোটা বাদাম খাওয়ার বিকল্প নেই। কেননা এতে ভেজাল মেশানোর সম্ভাবনা থাকে না। বাদাম যে কোন সময় খাওয়া যায় তবে প্রাতরাশ বা বিকেলের নাস্তায় খেলে ভাল। চিনে বাদাম খেলে অনেকেরই বেশি পরিমাণ নেওয়ার প্রবণতা থাকে। সে ক্ষেত্রে মুড়ি বা চিঁড়ার সঙ্গে মিলিয়ে খেতে পারেন। মুখরোচক করে নয়, বাদাম খেতে হবে কাঁচা। অবশ্যই তা লবণ দিয়ে নয়, লবণ ছাড়া খেতে হবে। তবেই তা শরীরের জন্য বেশি উপকারী হবে।

এএইচ/