ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘হ্যালো লিডারে’ এবারের অতিথি সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার

ক্ষমতার রাজনীতিতে যখন জবাবদিহিতা উধাও হতে বসেছে তখন একুশে টেলিভিশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ‘হ্যালো লিডার’। ভোটের আগে রঙ্গিন প্রতিশ্রুতি দেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু বিজয়ের পর  বেমালুম ভুলে যান সেসব কথা। নেতাদের ভুলে যাওয়া কথাগুলো মনে করিয়ে দিয়ে তা বাস্তবায়নই ‘হ্যালো লিডারের’ উদ্দেশ্য।

আগামীকাল রোববার রাত ১০টায় এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে থাকবেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। যিনি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

মাটির ঘ্রাণ শুঁকে বড় হওয়া এই নেতা বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। সিরাজগঞ্জের ভূমিপুত্র হিসেবে পরিচিত লতিফ বিশ্বাস এবার জবাবদিহিতার মুখোমুখি হবেন জনপ্রিয় টিভি সাংবাদিক ড. অখিল পোদ্দারের।  একুশে টেলিভিশনের হেড অফ ইনপুট ড. পোদ্দারের সঞ্চালনায় ‘হ্যালো লিডার’অনুষ্ঠানের এটি সপ্তম পর্ব।

এর  আগে গাজীপুরের মেয়র এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, কুষ্টিয়ার খোকসা-কুমারখালী আসনের এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎক সিরাজগঞ্জের এমপি প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, কেরাণীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ভোলার বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের এমপি আলী আযম মুকুল, ঢাকার মেয়র আতিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে লিডারের আসনে ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি রাত ২টায় ও পরদিন সোমবার সকাল ৭টায় পুনঃপ্রচার হবে।

হ্যালো লিডার প্রসঙ্গে একুশে টিভির হেড অফ ইনপুট ড. অখিল পোদ্দার বলেন, ‘এটি একটি জনক্ষমতায়ন বিষয়ক অনুষ্ঠান। দুর্নীতি রোধ করে জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে বাধ্য করাই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, যা সংশ্লিষ্ট নেতার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল।  বিশেষ করে বিভিন্ন ভাতার কার্ডের নামে লুটপাট, ঠিকাদারিতে পুকুরচুরিসহ নানামুখি অনিয়ম বন্ধ করতেই জবাবদিহিমূলক এ অনুষ্ঠান।’

উল্লেখ্য, ড. অখিল পোদ্দার বিশ্ববিদ্যালয় ও পরবর্তী সময়ে কাজ করেছেন ভোরের কাগজ এবং জনকণ্ঠ পত্রিকায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য দেশের স্বীকৃত পুরস্কারগুলির অধিকাংশই তিনি অর্জন করেছেন। সম্মাননা পেয়েছেন দেশে-বিদেশে।

বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়ালেখা করা অখিল পোদ্দার দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রথম হন। পরে বুদ্ধদেব বসুর নাটক নিয়ে গবেষণা করে অর্জন করেন পিএইচডি।

গণমানুষের দুঃখ-কষ্ট ও সেবাবঞ্চনা নিয়ে এক দশক ধরে ‘জনদুর্ভোগ’শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে আসছেন তিনি। একুশে টেলিভিশনের এ অনুষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের কথা বলার প্ল্যাটফরম বলে অভিহিত করেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার।

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ‘হ্যালো লিডার’ অনুষ্ঠানটি সহায়ক হবে বলেও আশাবাদী তিনি। উন্নয়ন ও অপরাধদমনে ‘হ্যালো লিডার’ ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে-এমন অভিমত মোহাম্মাদ আলী শিকদারের।
আই/