ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে কার্যকর কিছু পানীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩০ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

কয়েক দিন পরেই শুরু হতে হচ্ছে শীতের মৌসুম। তখন বায়ু দূষণের পরিমাণ হু হু করে বেড়ে যায়। এছাড়া কয়েকদিন বর্ষা না হলে রাস্তা খোড়াখুঁড়ির কারণে ধূলাবালির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই ধূলাবালি ও যানবাহনের ধোঁয়ায় ফুসফুসে সমস্যা সৃষ্টি হয়। তখন অনেককে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।

আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও বায়ু দূষণের জন্য কম দায়ী নয়। তাই দূষণের হাত থেকে শরীরকে বাঁচানোর চেষ্টা সারাবছরই জারি থাকা উচিত। কেবল মাস্ক ব্যবহারই শেষ কথা নয়, এগুলোর সঙ্গে প্রতিদিন কিছু প্রয়োজনীয় পানীয় খাবারে রাখলে দূষণের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। এই পানীয় টক্সিন দূর করে শরীরকে অনেকটাই দূষণমুক্ত রাখে।

এবার জেনে নিন দূষণ প্রতিরোধে সেরা কয়েকটি পানীয় সম্পর্কে-

* এক গ্লাস পানির সঙ্গে আখের গুড় ও তেঁতুলের ক্বাথ মেশান। আখের গুড়ে দূষণ প্রতিরোধী ক্ষমতা থাকে। তেঁতুলেও প্রাকৃতিকভাবেই অম্লের ভাগ বেশি। এই দুইয়ের মিশ্রণে যে পানীয় তৈরি হয় তা শরীর থেকে দূষিত বর্জ্য বের করে দিতে সক্ষম।

* পানির মধ্যে কয়েকটা তুলসিপাতা, পিষে নেওয়া আদা ও দু’চামচ আখের গুড় মেশান। এই মিশ্রণ খানিকক্ষণ ফুটিয়ে দু’বেলা খালি পেটে গরম গরম খান। তুলসী প্রাকৃতিকভাবেই জীবাণুনাশক ক্ষমতার অধিকারী। গুড়ও দূষণ রুখতে পারদর্শি। তাই দূষণের ক্ষতি কাটাতে এই পানীয় খুবই কার্যকর।

* পানিতে একটা পাতিলেবু, এক চামচ মধু ও এক চিমটে লবণের মিশ্রণ শরীরের টক্সিন দূর করতে পারা পানীয়দের মধ্যে অন্যতম। এ উপাদানগুলোর মধ্যে অ্যান্টিটক্সিন থাকায় তা শরীরে প্রবেশ করা দূষণের সঙ্গে লড়তে সক্ষম। শ্বাসজনিত সমস্যা দূর করা তো বটেই সঙ্গে ব্রঙ্কাইটিসের কষ্টও অনেকটা লাঘব করে এই পানীয়।

* দুধের মধ্যে তুলসিপাতা ও হলুদ মিশিয়ে সেই পানীয় ঈষ্ণ গরম অবস্থায় পান করুন। হলুদ প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টিসেপ্টিক, তুলসিপাতার মধ্যেও জীবাণু রোধের ক্ষমতা আছে। তাই শরীরের টক্সিন দূর করার পাশাপাশি এই পানীয় শ্বাসনালীর পথ পরিষ্কার করে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথকে বাধাহীন করে তোলে।

এএইচ/