ইটিভিতে কাল প্রচার হবে নাটক ‘ড্রীম অফ লাইফ’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৯ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার
রেহমান খলিলের রচনা ও পরিচালনায় রয়েল টাইগার নিবেদিত (পাওয়ার্ড বাই-ফিজআপ) নাটক ‘ড্রীম অফ লাইফ’ আগামীকাল সোমবার রাত ১০টায় প্রচার হবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভিতে। এছাড়াও নাটকটি রাত ১টায় দেখা যাবে গ্লোবাল টিভি অনলাইন ইউটিউব চ্যানেলে।
ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটের ব্যানারে কাজী রিটনের প্রযোজনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও ইশানা প্রমুখ।
গল্প সংক্ষেপ : আলো ছায়ার ব্যবধানে হঠাৎ পৃথিবীতে আবির্ভাব হয় ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের। পৃথিবীতে আসা মানেই জন্মগ্রহণ করা। এ জন্ম হুবহু মেজর আন্দালিভের পুনর্জন্ম। দীর্ঘ সাধনা আর লালিত স্বপ্নের অবিচল ধ্যানে বিধাতার প্রতি সুদৃঢ় বিশ্বাস মানুষ্যাত্মার জীবনে ঘটে যেতে পারে পরম পাওয়ার সুখ।
মিসেস সেতারার স্বামী মেজর আন্দালিভ স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্বকালীন সময়ে বাসা থেকে বের হয়ে আজও ফিরে আসেনি। জন্মও দিয়ে যাননি কোন উত্তরসুরি। তার’ই স্ত্রী মিসেস সেতারা যিনি পাননি সুখের ছোঁয়া। দীর্ঘদিন বিধাতার বরাবর সেজদা বা অবিরাম প্রার্থনায় মগ্ন থেকে স্বপ্নের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসে একবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়, তার স্বামীর স্মৃতির সংযোজন পূর্বক একটি বই প্রকাশের বাসনায়। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পেয়ে নতুন আগমন পাওয়া পৃথিবীতে নির্ঝর নামক ছেলেটি মিসেস সেতারার সাথে দেখা করতে আসলে হুবহু তার স্বামীর মত মনে হয় বৃদ্ধার। বিধাতাই যেন বৃদ্ধার শেষ জনমে মেজর আন্দালিভকে হাজির করল এই পৃথিবীতে।
বৃদ্ধার কার্য পরিচালনা করতে গিয়ে নির্ঝরের পরিচয় হয় তার খেদমতে থাকা রূপসী বালিকা অধরার সাথে। আর অধরাই কিনা বৃদ্ধার যৌবনকাল। অধরার প্রতি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে নির্ঝর। অধরা বিহীন নির্ঝর যেন বাঁচতে পারবে না। নির্ঝর এবং অধরার সম্পর্ক যখন গভীর থেকে গভীরতম তখন নির্ঝর অধরাকে একান্তে পেতে চায়। একদিন নির্ঝর অধরাকে তার মনের কথা বললে অধরা বৃদ্ধার বাড়ির বাইরে যাওয়ার অপেক্ষার কথা বলে। তার পরই হবে দুজনের...।
যথাসময়ে বৃদ্ধা তার বাড়ির বাইরে গেলে, বৃদ্ধার রুমে অধরার কাছে নির্ঝর পরম তৃপ্তির বাসনায় হাজির হয়। তখন ছিল রাত। দুজনে অন্ধকার রুমে পাশাপাশি অবস্থান করে। ঠিক মাঝ রাতে দেয়ালের ফাঁক দিয়ে নতুন পূর্ণিমার চাঁদের আলোতে নির্ঝর দেখতে পেল এটা আসলে অধরা নয় মিসেস সেতারা ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা। নির্ঝর অবাক হয়ে যায়। আবার চাঁদের আলো নিভে গেলে মনে হয় এ যেন মিসেস সেতারা ও তার স্বামী মেজর আন্দালিভ । নাকি অধরা ও নির্ঝর ?
আরকে//