ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বাগেরহাটে পৌনে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, অতঃপর

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৭ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ রবিবার

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পৌনে তিন বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এতে শিশুটির রক্তক্ষরণ হলে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে নির্যাতিতা শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ফাহাদ খন্দকারকে (১৮) আসামি করে মোল্লাহাট থানায় মামলা করেন।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশুটির মা জানান, গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার উদয়পুর আড়ুয়াকান্দি গ্রামের পান্নু খন্দকারের স্ত্রী প্রতিবেশী লাভলী বেগমের ডাকে সাড়া দিয়ে মেয়েকে নিয়ে তাদের বাড়িতে যাই। তাদের ঘরে বসে লাভলী বেগমের সঙ্গে গল্প করছিলাম। অন্যদিকে আমার মেয়ে লাভলীর মেয়ে বর্ষার সঙ্গে উঠানে খেলছিল। কিছুক্ষণ পরে চকলেটের লোভ দিয়ে পান্নু খন্দকারের ছেলে ফাহাদ খন্দকার তার শয়ন ঘরে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এসময় মেয়ের চিৎকারে আমি দৌড়ে আসি। বিছানায় রক্ত দেখতে পাই। তখন লাভলী বেগম ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ফাহাদ পালিয়ে যায়।

পরে ফাহাদের মা লাভলী বেগম মেয়ের সুস্থ্যতার জন্য হোমিও ঔষধ এনে দেয়। যদি লোকজন জানতে পারে তাহলে তোমার মেয়ে বড় হলে বিয়ে হবে না বলে ভয় দেখায় লাভলী বেগম। লাভলীর কথা মত আমি চুপ থাকি। এরপরও আমার মেয়ে সুস্থ্য না হওয়ায় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি আমার মেয়েকে অত্যাচারের বিচার চাই।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মাদ আতাউল্লাহ বলেন, মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেপ কেস-এর একটি শিশুকে আমাদের এখানে হস্তান্তর করা হয়। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেছি। সে এখন অনেকটা সুস্থ্য রয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। এছাড়া আর সকল পরীক্ষা সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হবে। 

এ বিষয়ে মোল্লাহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবীর বলেন, রোববার বিষয়টি জানতে পেরেছি। পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে আসামি পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আটকের চেষ্টা করছি।

এনএস/