ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আবরার হত্যা: ৪ দিনের রিমান্ডে সেতু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৯ সোমবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার এস এম মাহমুদ সেতুর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সেতুকে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে গতকাল রোববার বিকালে বুয়েট থেকে এস এম মাহমুদ সেতুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, আবরার হত্যা মামলায় নাম সেতুর নেই। তবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়া অন্য আসামিদের বক্তব্যে সেতুর নাম উঠেছে। সে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, রাজধানীর বাংলামোটর থেকে রোববার বিকেল ৫টার দিকে মাহমুদ সেতুকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, আবরার হত্যা মামলার এজাহারে মাহমুদ সেতুর নাম উল্লেখ না থাকলেও কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় ইতোপূর্বে গ্রেফতারদের জবানবন্দি ও বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণে আবরার হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাহমুদ সেতু জানান, তিনি বুয়েটের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে চলতি বছরের এপ্রিলের বিএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১২ রুমে অবস্থান করে মানিকগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আসা-যাওয়া করতেন সেতু।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় এখন পর্যন্ত ২১জনকে গ্রেফতার করা হলো।