মহিউদ্দিনের স্ত্রীকে মঞ্চ থেকে নামানো নিয়ে মুখ খুললেন মেয়র নাছির
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার
আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধিসভায় প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় চলছে। গত রোববার কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে মহিউদ্দিনের স্ত্রীর পাশাপাশি আরও কয়েকজন নেতাকে মঞ্চ থেকে নামানোর ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে নেতাকর্মীদের মধ্যে দলাদলি শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে হাসিনা মহিউদ্দিন কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
ঘটনাটি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, এ ঘটনা জানার পরে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মেয়র তাকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা মঞ্চে বসবেন সে ক্যাটাগরি ভাগ করা ছিল, সেখানে মহিউদ্দীনের স্ত্রীর নাম ছিল না। কিন্ত জানলে নিজের সামনে এ ঘটনা ঘটতে দেওয়া হতো না বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, সভা শুরুর পর কারা মঞ্চে বসবেন, সেটা আমি সঞ্চালক হিসেবে বারবার ঘোষণা দিয়েছি। আমি বারবার সবার কাছে সহযোগিতা চেয়ে বলেছি যে- আমরা সুশৃঙ্খলভাবে সভা শেষ করতে চাই। কারও সঙ্গে আমি দুর্ব্যবহার করিনি। শুধু অনুরোধ করেছি, মঞ্চে কারা বসবেন তা নিয়ে ২৬ অক্টোবর রাতে সার্কিট হাউজে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি জানিয়ে দিয়েছি।
আ জ ম নাছির বলেন, শুধু উনি (হাসিনা মহিউদ্দিন) না, মঞ্চে বসার জন্য যারা এনটাইটেলড না, তাদের সবাইকে বলেছি- যারা মঞ্চে বসার জন্য এনটাইটেলড না, দয়া করে তারা মঞ্চ থেকে নেমে যান। কই উনি তো এটি নিয়ে কিছু বলেননি, উনি নিজে নেমে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, ২৬ অক্টোবর রাতে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের ভাইসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়- কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী, দলের সংসদ সদস্য এবং ৬ জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সব সহ-সভাপতিরা মঞ্চে বসবেন। এর বাইরে সবাই বসবেন মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতে।
মেয়র বলেন, মহিউদ্দিন ভাই মারা যাওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে নিজেদের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই। এটি দলের মধ্যে থাকা কয়েকজনের হয়তো পছন্দ না, তারা তিলকে তাল করে একটি সুন্দর-সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত সম্মেলনকে কালিমালেপন করার জন্য এ ঘটনাকে বড় করছেন।
একে//