বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে জঙ্গি হামলার হুমকি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার
একের পর এক অঘটনে রীতিমত বিপর্যস্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গণ। যেন শনির দশা লেগেছে, কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা। সম্প্রতি ক্রিকেটারদের আন্দোলন, বোর্ডের কঠোর অবস্থান, নিয়ম না মেনে সাকিবের স্পন্সরশিপ চুক্তির মত নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলছে ভারত সফরের প্রস্তুতি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনার তুঙ্গে এখন একটাই- সাকিব ইস্যু।
এদিকে, আগামীকাল ৩০ অক্টোবর ভারতগামী বিমান ধরার কথা বাংলাদেশ দলের। তার একদিন আগেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানে না, কারা যাচ্ছেন এই সফরে, আর কারা যাচ্ছেন না! শেষপর্যন্ত যদি ভারত সফর হয়ও, তবুও রয়েছে শঙ্কা। বাংলাদেশ-ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে একটি জঙ্গি গোষ্ঠী।
কয়েকদিন আগে ক্রিকেটারদের ১৩ দফা দাবির সমঝোতার পর আবার মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ভারত সফরের আগে জাতীয় দলের ৪ দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প। এখন অপেক্ষা ভারতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার। ঠিক এর আগ দিয়ে তামিম ইকবালের ছুটি আর মোহাম্মদ সাইফদ্দিনের চোট খানিকটা বিপাকেই ফেলে দেয় বিসিবিকে।
এদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে না পাওয়ার সম্ভাবনাও ঢের। এমতাবস্থায় আবার টি-টোয়েন্টি দলে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে বিসিবি।
এদিকে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। তার আগে ৩ ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে রোহিত শর্মার দলের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। আগামী ৩ নভেম্বর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
মূলত এই ম্যাচটি নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে ভারতের সন্ত্রাস-তদন্ত সংস্থা, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিতে (এনআইএ)।
সন্ত্রাসীগোষ্ঠী অল ইন্ডিয়া লস্কর-ই-তৈয়বার পাঠানো একটি চিঠিতে এমন হুমকি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ। যেখানে আরও জানানো হয়েছে যে, এই ম্যাচের আগে আরেকদফা হামলার শিকার হতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেট দল।
এছাড়াও ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ওই চিঠিতে হামলার আশঙ্কায় রাখা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও। যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে তার নাম নেই। এমনকী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও রয়েছেন এই জঙ্গী হামলার টার্গেটে। সূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস/