ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চলতি বছরে গুলশানের রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা ছিল সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা

প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০১:৪৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ শনিবার

চলতি বছরের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল জঙ্গিদের তান্ডব, গুপ্ত হামলা, হত্যাযজ্ঞ আর জঙ্গিবিরোধী অভিযান। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ঝিনাইদহে ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান সমির মন্ডল খুন হন। এরপর জঙ্গিদের টার্গেট হয় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। তবে, পহেলা জুলাই গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা সবাইকে হতবাক করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, শীর্ষ জঙ্গিদের বেশির ভাগ নিহত হওয়ায় বড় ধরণের হামলার আশংকা অনেকটাই কমে গেছে। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ধর্মভিত্তিক জঙ্গিদের হামলায় ঝিনাইদহে খুন হন ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান সমির মন্ডল। ৬ এপ্রিল পুরনো ঢাকায় গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী নাজিমউদ্দিন সামাদকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ২৩ এপ্রিল রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রেজাউল করিম সিদ্দিকী খুন হন। ২৬ এপ্রিল রাজধানীতে অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় জঙ্গি হামলায় নিহত হন। এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে জঙ্গিদের টার্গেট হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষ, পুরোহিত, শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা, বাউল ভক্তসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। এছাড়া, মন্দিরসহ নানা স্থানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে যায় গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনা। নিহত হয় ১৭ বিদেশি সহ ২৩ জন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে প্রাণ হারায় ছয় জঙ্গি। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে তামিম চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম ও সারোয়ার জাহানসহ ৩৬ জঙ্গি নিহত হয়। এ’সব ঘটনায় জঙ্গিদের সক্ষমতা কমেছে বলে মনে করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।