‘প্রচুর পেয়াঁজ আমদানি হচ্ছে, সংকট কেটে যাবে’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:০৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার
সাম্প্রতিক সময়ে পেঁয়াজ নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে সেটা অচিরেই কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় গণভবনে সদ্য সমাপ্ত আজারবাইজান সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যা থাকবে না। এটা সাময়িক। কয়েকদিনের মধ্যে এটি ঠিক যাবে। প্রচুর পেয়াঁজ আমদানি হচ্ছে। ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ চলে এসেছে। আরও আসবে।
পেঁয়াজের মজুদের বিষয়ে তিনি বলেন, কারা পেঁয়াজ মজুদ করছে। মজুদ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে কতদিন রাখা যাবে? পেঁয়াজ তো পঁচে যাবে। বেশিদিন তো রাখা যাবে না। এ সময় রসিকতা করে শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ ছাড়াও তো রান্না হয়। আমি নিজেও তো করি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। কে কোন দল করে তা বিবেচ্য বিষয় নয়, দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলবে।
রাশেদ খান মেননকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজের নির্বাচিত হওয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন রাশেদ খান মেনন। তিনি যে কিভাবে এমন কথা বলেন আমার বুঝে আসে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার এবং টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পাশে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক ক্রিকেট জুয়াড়ির (বুকি) কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। সেটি তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে না জানিয়ে গোপন করেন সাকিব। এটা করা তার উচিত হয়নি। বিষয়টি বিসিবিকে জানানো উচিত ছিল।
তিনি বলেন, সাকিব যেহেতু আমাদের দেশের ছেলে, সে একটা ভুল করেছে, বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যদি শাস্তি দেয় আমাদের সরকারের তেমন কিছু করার নেই। দাবি দাওয়া নিয়ে ক্রিকেটারদের আন্দোলনে যাওয়া ঠিক হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮তম নন-অ্যালাইনড মুভমেন্ট (ন্যাম) সম্মেলনে অংশ গ্রহণ শেষে আজারবাইজানে চার দিনের সরকারি সফর শেষে রোববার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১২০টি উন্নয়নশীল দেশের জোট নিরপেক্ষ ফোরাম ন্যামের দুই দিনের সম্মেলনটি ২৬ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর কংগ্রেস সেন্টারে সমাপ্ত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে ন্যাম সম্মেলনে যোগ দেন।
ন্যাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকু কংগ্রেস সেন্টারের প্ল্যানারি হলে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন, প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে ওয়ার্কিং লাঞ্চন ও সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
পরে সন্ধ্যায় তিনি হায়দার আলিয়েভ সেন্টারে আজারবাইজানের প্রেসিডিন্ট ইলহাম আলিয়েভের দেয়া সরকারি সংবর্ধনায় যোগ দেন।
এছাড়া তিনি হিলটন বাকুতে একই সঙ্গে আজারবাইজানের দূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া নৈজভোজে অংশ নেন।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, আলজেরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট আবদেল কাদের বেনসালাহ ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিয়াদ আল মালকিসহ বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
টিআর/এসি