ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

মুক্তি পাচ্ছেন বিএনপির এমপি হারুন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২২ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১১:২৪ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার

শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদকে হাইকোর্টের দেয়া ৬ মাসের জামিন আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকলো না। 

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ‌্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ‌্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। 

গত সোমবার বিচারিক আদালতে দেয়া ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন অর রশিদ। একইসঙ্গে জামিন আবেদনও করেন তিনি। পরদিন বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ হারুনকে ৬ মাসের জামিন দেন। 

এই আদেশ স্থগিত চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক। কিন্তু চেম্বার আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। 

গত ২১ অক্টোবর হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছরের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন।

শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়। এ মামলায় আরও দুজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেক।