ঢাকা, বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১০ ১৪৩১

জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ যুবলীগ নেতার অফিস ভাংচুর

সাভার সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৭:১৪ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ যুবলীগ নেতার অফিস ভাংচুর

জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ যুবলীগ নেতার অফিস ভাংচুর

রাজধানী ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় এক যুবলীগ নেতার অফিসের কাঁচ, জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমানের ছবিসহ মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর ও ৪ জনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  

গত ৩০ অক্টোবর (বুধবার) দিবাগত রাতে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর হাজ্বী মার্কেট এলাকাস্থ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জুয়েল মোল্লার অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলো- তাজীদুল ইসলাম, রাকিবুল, হাসিবুল ও রানা। এদের মধ্যে তাজীদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা জের ধরে বুধবার রাত ৮টার সময় ইয়ারপুর ইউপি সদস্য আবু সামা মৃধা, ওয়াসিম, রাব্বি, সোহেল, শাওন, রবি ও শরীফসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্র নিয়ে পূর্ব নরসিংহপুর হাজীমার্কেটের যুবলীগ নেতা জুয়েল মোল্লার অফিসে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং অফিসের যাবতীয় মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে। 

এসময় সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সাংসদ ডা. এনামুর রহমান ও আশুলিয়া যুবলীগের আহ্বায়ক কবীর হোসেন সরকারের ছবিও ভাংচুর করে। 

এতে তাদেরকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা ৪ যুবলীগ কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে তাজীদুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

যুবলীগ নেতা জুয়েল মোল্লা জানান, বুধবার রাতে এশার নামাজের পর আবু সামা মৃধার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় আমার কর্মীরা বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তাজীদুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ হামলায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। 

জুয়েল মোল্লা বলেন, অসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিস ভাংচুরে আমার কোন দু:খ ছিলো না, কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় সাংসদ ও আমার নেতা কবির হোসেন সরকারের ছবি ভাংচুরে বেশি কষ্ট পেয়েছি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু সামা মৃধার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে সে সংযোগটি গ্রহণ না করায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙাখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট আহ্বান জানাই। 

ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নূরুল আমীন সরকার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যেমে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান অফিস ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। 

এনএস/