ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

৬০ মৌজা সন্দ্বীপের সীমানায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৩ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:১১ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সাবেক নেমস্তি ইউনিয়ন বর্তমান ভাসান চরকে সীমানা নির্ধারণ ছাড়া হাতিয়া-নোয়াখালীর থানা ঘোষণার প্রতিবাদ ও ৬০ মৌজা সন্দ্বীপের সীমানায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সন্দ্বীপভিত্তিক সামাজিক সংগঠনগুলো এ মানববন্ধন করে। এতে অংশ নেয় সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ঢাকা, উত্তরা সন্দ্বীপ সমাজ ঢাকা, বৃহত্তর মিরপুর সন্দ্বীপ সমাজ ঢাকা,সন্দ্বীপ হরিশপুর ইউনিয়ন নদী সিকস্তি পুনর্বাসন কমিটি ঢাকা, সন্দ্বীপ স্টুডেন্ট ফোরাম ঢাকা, সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডস সার্কেল অ্যাসোসিয়েশন, সন্দ্বীপ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।   

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, নোয়াখালীর সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং ভাসান চরকে সন্দ্বীপে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে হাজারো সন্দ্বীপবাসী বাপ-দাদার ভিটে মাটি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিঞ্চিপাল ও চেয়ারম্যান ড. সালেহা কাদের বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নেত্রী হিসেবে বিশ্ব দরবারে আজ সমাদৃত। আপনার দিকে আমরা (সন্দ্বীপবাসীর) আকুল আবেদন যে, স্যাটেলাইট জরিপের মাধ্যমে আমাদের হারানো ৬০ মৌজার ভূমি এবং ভাসান চরকে সন্দ্বীপের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করে সেখানে নদী সন্দ্বীপের সিকস্তি মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিন।'  

সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ঢাকা'র সভাপতি নুরুল আকতার বলেন, ‘সরকার যখন যেভাবে প্রয়োজন এ চরের উন্নয়ন কিংবা ব্যবহার করতে পারেন তাতে সন্দ্বীপবাসীর সমর্থন থাকবে। কিন্তু আমাদের বাপ দাদার ভিটে মাটি নিয়ে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র সন্দ্বীপবাসী কখনো মেনে নিবে না।

এই চর নিয়ে নোয়াখালী ও হাতিয়ার মালিকানা দাবির প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি সন্দ্বীপের নেমস্তি ইউনিয়ন। হাতিয়া অথবা নোয়াখালীর নয়। 

মানববন্ধনে আলী হায়দার চৌধুরী বাবলু বলেন, সম্প্রতি ভাসান চরকে হাতিয়া-নোয়াখালী জেলার অধীনে থানা ঘোষণা করা হয়েছে। এ খবরে দেশে-বিদেশে সন্দ্বীপবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই চোর জেগে উঠার পর থেকে এই দ্বীপের মানুষ তাদের বাপ-দাদার ভিটে মাটি ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু নোয়াখালীর অংশে এটিকে যুক্ত করায় এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি সন্দ্বীপবাসী। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে ৬০ মৌজা বুজিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব।

উত্তরা সন্দ্বীপ সমাজ ঢাকার সভাপতি আলী হায়দার চৌধুরী বাবলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, শাহাদাৎ হোসেন আশরাফ, আনোয়ারুল আজিম মনজু, মাসুম বিল্লাহ, কাজী ইফতেখারুল আলম তারেক, মোকারম দস্তগির, ব্যাংকার কামাল পাশা, চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিঞ্চিপাল ও চেয়ারম্যান, ড. সালেহা কাদের, গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালেহা বেগম, এম জি ফারুক, আবুল কালাম আজাদ, প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান, হেদায়তুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হক চৌধুরী বায়রন, মাইনুর রহমান, এডভোকেট আনোয়ারুল কবিরসহ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,`ভাসান চর সন্দ্বীপ থেকে মাত্র ৪ কি.মি আর হাতিয়া থেকে ২৫ কি.মি। তাছাড়া জেগে  উঠার পর থেকে গত দশ বছর ধরে বনায়ন করেছে চট্টগ্রাম বন বিভাগ। তাহলে কীভাবে হাতিয়া এবং নোয়াখালী এটার দাবি করে?এটি আমাদের বাপ দাদার হারানো ভিটে মাটি। এই মাটির স্বার্থে আমরা জীবন দিতেও কুণ্ঠিত হবো না। তাই সন্দ্বীপের ৬০ মৌজার সীমানা দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া হোক।`

আরকে/কেআই