ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

অনুপ্রবেশকারীরা কোন নেতৃত্ব পাবে না:  ওবায়দুল কাদের

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৬:৪৩ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৬:৪৫ পিএম, ১ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের তত্ত্বাবধানে করিয়েছেন। সেই তালিকায় দেড় হাজারের মতো অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে। এ অনুপ্রবেশকারীরা যেন নেতৃত্ব গ্রহণ করতে না পারেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার বিকালে সাভারে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় সড়ক পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী বলতে যারা হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ করছেন, আচমকা দলের ভিতরে এসেছেন, সাম্প্রদায়িক দল ছাড়া অন্য দল থেকে ক্লিন ইমেজের লোকদেরকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানিয়েছি। এদেরকে আমরা অনুপ্রবেশকারী বলবো না। যারা ভাল ও শিক্ষিত মানুষ, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, তারা অন্য দল করে আসতে পারে কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে অনুপ্রবেশের ব্যাপারটি আমরা দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করেছি। 

সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে যারা আসে এবং যারা চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত ভুমিদস্যু, জনগণের কাছে যাদের ইমেজ খারাপ, যাদের ভাবমূর্তি জনগণের কাছে খারাপ, এই ধরনের লোকজনকে অনুপ্রবেশকারী বলবো।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা নিজের তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ তালিকা আছে। তিনি তালিকাটি পার্টি অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন, দলের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বে থাকা লোকদের কাছে এ তালিকা পাঠানো হচ্ছে। এখন সারাদেশে যে সম্মেলন হচ্ছে এবং তালিকা অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। এই তালিকা দেড় হাজারের মতো অনুপ্রবেশকারীর নাম আছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড’র (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ক্যাসিনো খেলার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাপারটি আমাদের নেত্রী সরাসরি দেখাশোনা করেন, তত্ত্বাবধান করেন, সেখানে বিষয়টি তিনি দেখছেন কাজেই এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ 

এখন মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য এবং বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু আমার মনে হয় সাংবাদিকদেরও কিছু দায়িত্ব আছে। শৃঙ্খলাবোধ ফিরিয়ে আনার জন্য সতর্কতার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে হবে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা একটা ভালো ভুমিকা রাখতে পারে। নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক একটি প্রজেক্ট দিচ্ছে, আমরা এই ব্যাপারে আটঘাট বেঁধেই নেমেছি। শৃঙ্খলাই এখন বড় সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা বাংলাদেশের কোথাও নেই। দেশে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে, শৃঙ্খলা না থাকলে উন্নয়নের কোন দাম নেই ‘

এমএস/আরকে