ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কেমন হবে সাকিব-তামিমহীন ম্যাচ?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৯ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার

দিল্লিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রাতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও ভারত। এ ম্যাচে উভয় দলেই তরুণদের বেশ ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।  প্রথমবারের মত ভারতে পূর্ণাঙ্গ সফরে টাইগাররা। কিন্তু নেই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় সাকিব আর সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকায় নেই তামিম। অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছে আরেক নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদুল্লাহর কাঁধে।

সফরের আগে টিম টাইগারদের ওপর যে ঝড় বয়ে গেছে, তা জানা ছিলনা কারো। নতুন ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে এসে দুই অভিজ্ঞকে ছাড়া কতটা চ্যালেঞ্জে মোকাবেলা করতে পারবে মুশফিকরা তা নিয়ে শঙ্কার অন্ত নেই। তাইতো, দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মনে একটাই প্রশ্ন- কেমন হবে সাকিব-তামিমহীন বাংলাদেশের ম্যাচ?

বিভিন্ন সংকটের কারণে এ সিরিজে বাংলাদেশ তারুণ্যকে বেছে নিয়েছে। অপরদিকে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে তরুণদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নেই নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রোহিত শর্মার কাঁধে। তাই বলাই যায়- এটি একটি তারুণ্য নির্ভর সিরিজ।

এ সিরিজে  নেই সাকিব ও তামিম। আর দলে জায়গা হয়নি সাব্বির রহমানেরও। এই তিন অভিজ্ঞের জায়গা কে পূরণ করবে তা নিয়েই চলছে হিসেব-নিকেশ। তবে তা প্রথম ম্যাচ শেষে স্পষ্ট হবে।

মাঠে নামার আগে একাদশ সাজাতে গিয়ে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়তে হচ্ছে দুটি স্পট নিয়ে। তামিমের জায়গায় কে ওপেনিং করবেন আর মাঝে সাকিবের জায়গায় নতুন কে?

তবে, ওপেনিং নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কেননা, এখানে খুব বেশি অপশন টাইগারদের হাতে নেই। তাই, লিটন আর সৌম্যের ওপেনিং যে অনেকটা নিশ্চিত তা বলাই যায়। এতে ডানহাতি ও বামহাতি কম্বিনেশনটাও মিল থাকবে।

লিটন-সৌম্যর পর তিনে দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। তবে মোহাম্মদ মিঠুনকেও তিনে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না! তারপরই মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ। ছয়ে মোসাদ্দেক অনেকটাই অটোমেটিক চয়েজ। তারপর আফিফ হোসেন।

কিন্তু সাকিবের অভাব পূরণ কে করবেন তা নিয়ে বেশ চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। এ কারণেই ভিন্নকিছু চিন্তা করছেন তারা। শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছেই বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন টিমকে নিয়ে বসেন। দল গঠনে তার ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, তা সবারই জানা। এবারও তাই ঘটছে।

সাকিবের জায়গা নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও টিম ম্যানেজমেন্টেন ভাবনা অনেকটা একই। উভয়ের ভাবনায় একজন বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান। গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনেও অবশ্য অধিনায়ক এমনটাই ইঙ্গিত দেন।

তিনি বলেন, ‘কম্বিনেশনের দিক থেকে যদি চিন্তা করি সাকিব না থাকায় আগেও যেটা হয়েছে কম্বিনেশনে সমস্যা হয়। একজন টপ ক্লাস অলরাউন্ডারের মিস তো অবশ্যই টিমের জন্য বড় সমস্যা। আমার মনে হয় ওই জায়গা থেকে কম্বিনেশনে এক্সট্রা একজন বোলার কিংবা ব্যাটসম্যান নিতে হবে।’

তার কথাই যদি ঠিক হয়, তবে রাসেল ডমিঙ্গো একাদশে নিতে পারেন তিনজনের একজন। বাড়তি বোলার তাইজুল ইসলাম। আর ব্যাটসম্যান নিতে চাইলে মিঠুন কিংবা নাঈম শেখ।

তবে ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিং নিয়ে টাইগারদের চিন্তা একটু বেশি। স্পিনার হিসেবে রয়েছে তাইজুল ইসলাম আর আরাফাত সানি। যেকোনো একজনকে হয়তো নামানো হবে। তবে, কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামের জায়গা অনেকটা নিশ্চিত।

এদিকে, মাঠের পরিসংখ্যান বলছে, বোলারদের তুলনায় ব্যাটসম্যানরাই সুবিধা পাবেন বেশি। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এ মাঠেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২ রান তুলেছিল ভারত।

সে ম্যাচে অধিনায়ক রোহিত শর্মা করেছিলেন ৫৫ বলে ৮০ রান। ৫২ বলে সমান রান করেন শিখর ধাওয়ান। মাঠের দশ টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বনিম্ন ১২০ রান!

এমন পরিসংখ্যান জেনে নিশ্চতই বাড়তি ব্যাটসম্যান নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে, একাদশে যারাই নামুক, প্রত্যাশাটা খুব বেশি নয়। চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে পারলে সাকিব-তামিম ছাড়াও পজেটিভ ফল আসবে বলেই মনে করেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।
এআই/