ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ফের দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযানে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগের সাবেক প্রভাবশালী নেতা ও টেন্ডার কিং জি কে শামীমকে দ্বিতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শামীমকে রমনা থানা থেকে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। পরে তাকে রমনা থানা হেফাজতে পাঠানো হবে। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিমান্ডের সাত দিন তাকে সেখানেই রাখা হবে। 

দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দিনের মতো জি কে শামীমকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যেই মামলা করেছে দুদক। তদন্ত চলছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। 

এর আগে গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়েছিল।

গত ২৭ অক্টোবর শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত। রোববার থেকে শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুদক। এদিন দুপুরে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে দুদকে আনা হয়।

২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেফতার হন জিকে শামীম। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা করা হয়।

মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়। ২১ সেপ্টেম্বর শামীমের অস্ত্র ও মাদক মামলায় পাঁচদিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। গত বৃহস্পতিবার জিকে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

অস্ত্র মামলা ও মাদক মামলার এজাহারে বলা হয়, শামীমের কাছ দেহ তল্লাশি করে তার নামে একটি এনপিবি দশমিক ৩২ বোরের পিস্তল, ৪৭ রাউন্ড গুলি ও তিনটি গুলির খোসা পাওয়া যায়। তার সাত দেহরক্ষীর প্রত্যেকের কাছ থেকে কালো রঙের দশমিক ১২ বোরের একটি শটগান পাওয়া যায়।