অবৈধ কাজ বন্ধে ট্রাফিক পুলিশের গায়ে ক্যামেরা: ডিএমপি কমিশনার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩৩ পিএম, ৪ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার
আইন অমান্য করে কোনো ট্রাফিক পুলিশ যাতে অবৈধ সুবিধা নিতে না পারেন সেজন্য তাদের গায়ে ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলাম।
সামান্য জরিমানা দিয়ে ট্রাফিক আইন-২০১৮ এর বাস্তবায়ন শুরু হবে বলেও জানান জানান তিনি।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’বাস্তবায়ন নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পুলিশের কর্মকর্তা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো কর্মকর্তা যদি মামলা না দিয়ে অন্যকোনোভাবে সুবিধা নেন। আর কেউ যদি তা অভিযোগ করে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, মামলার ভয় দেখিয়ে কেউ অবৈধভাবে সুবিধা নিতে চাইলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ট্রাফিক পুলিশরা যাতে অবৈধ কাজে যুক্ত না হতে পারেন, সেজন্য প্রত্যেক ট্রাফিকের গায়ে ক্যামেরা লাগানো থাকবে। মামলা দেওয়ার সময় ছবি না তোলা থাকলে সেই ট্রাফিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নতুন আইন কেউ প্রথমবার ভঙ্গ করলে তাকে সামান্য জরিমানা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হবে। একই সঙ্গে তাকে একটি লিফলেট দেয়া হবে। যাতে ওই ব্যক্তি পুনরায় একই অপরাধ করতে না পারেন। করলে আইন অনুযায়ী পুরো জরিমানা বা শাস্তি ভোগ করতে হবে।
নতুন আইনে সাজা বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাজার ভয়ে মানুষ যাতে আইন মেনে চলে, তাই এ আইন করা হয়েছে। চালকদের পয়েন্ট সিস্টেম রাখা হয়েছে। চালকদের পয়েন্ট কমতে থাকলে একটা পর্যায় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। সেই চালক আর পরে লাইসেন্স নিতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ১ নভেম্বর গেজেট পাশের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে নতুন আইন প্রয়োগ নিয়ে কিছুটা বিলম্ব হবে। নতুন ধারা সম্পর্কে ডিএমপির ৮০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইন সম্পর্কে নতুন একটি বই বাজারে এসেছে। সব কর্মকর্তাকে একমাসের মধ্যে নতুন আইন সম্পর্কে জানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেসব সড়কে ফুটওভার ব্রিজ নেই সেখানে পথচারীদের সড়ক পারাপারে সহযোগিতা করবে ট্রাফিক পুলিশ। আর যেসব সড়কের ফুটওভার ব্রিজ আছে সেখানে ব্রিজ ব্যবহার না করা হলে পথচারীদের শাস্তি দেওয়া হবে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আইন কার্যকরের আগে কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ করেছে ডিএমপি। সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা চালানো ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মামলা-জরিমানার নতুন পদ্ধতি কার্যকর করা হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
এআই/এসি