ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

মোদির জন্মস্থানে সিরিজ জিততে চায় মুশফিকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৮ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:১০ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

দূষণের নগরী দিল্লি। দূষণের কারণে মুখে মাস্ক দিয়ে প্র্যাকটিস করেছিল লিটন দাস। দূষণের মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে গত রোববার দিল্লি হয়ে উঠেছিল প্রিয়। তার কারণ অবশ্য সবারই জানা। টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে ভারতকে হারায় টাইগাররা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দারুণ জয়ের পর এবার টাইগারদের লক্ষ্য সিরিজ জয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মভূমিতেই সিরিজ নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখছেন মুশফিক-রিয়াদরা। দলের প্রতিনিধি হয়ে এই বার্তাই দিলেন তরুণ লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

লেগস্পিনার হওয়ার সুবাদে স্কোয়াডের অন্য সদস্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন বিপ্লব। এই সিরিজের সব ম্যাচেই সুযোগ দেওয়া হতে পারে তাকে।

২০ বছর বয়সী এ লেগি দিল্লির ম্যাচে খুবই হিসাব-নিকাশ করে বোলিং করেছেন। ব্যাটসম্যান দেখে বল করায় সফল হতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। তবে এ মুহূর্তে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়েও দলের সাফল্য বেশি নাড়া দিয়েছে তাকে। সিরিজ নিশ্চিত করতে রাজকোটে সমন্বিত পারফরম্যান্সের দিকেই ফোকাস করছেন তারা।

সিরিজে এগিয়ে থাকার স্বস্তি নিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতি শুরু করেছে টাইগাররা। মঙ্গলবার সকালে রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শুরু হয় টাইগারদের অনুশীলন।

ক্রিকেটারদের মন এমনিতেই ভালো। সেখানে নতুন শহরের নির্মল বায়ু পেয়ে মনটা সবার আরও ভালো থাকার কথা। চোখের দেখায় খেলোয়াড়দের ভালোই মনে হয়েছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নানা কারণেই ভালো লাগবে নতুন শহরটি। এখানে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি নেই। দিল্লির মতো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পথ চলতে হবে না। ইচ্ছামতো পছন্দের খাবার খেতেও বাধা নেই। তবে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে চা পানের যে আনন্দ, তা হয়তো ক্রিকেটাররা পাবেন না। কারণ তারা সেলিব্রেটি।

সেখানে চোখেমুখে ক্লান্তি বা হতাশার কোনও ছাপ নেই কারও। বরং টাইগার স্কোয়াডের প্রত্যেক সদস্যের প্রাণোচ্ছলতা দেখে মনে হয়, সোনালি চিলের ডানায় ভর করে দিল্লি থেকে গুজরাটের রাজকোটে উড়ে গেছেন তারা। সঙ্গে এনেছেন লাখো ভোল্টের আত্মবিশ্বাসের পাওয়ার হাউস। এই প্রাণশক্তি কাজে লাগিয়েই আগামী বৃহস্পতিবার ভারতকে আরও একবার হারাতে চান তারা।

সাইক্লোনে খেলা পরিত্যক্ত না হলে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচটি ভালোই উপভোগ করবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

একে//