সম্রাটকে অভিযুক্ত করে অস্ত্র মামলায় র্যাবের চার্জশিট
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার
রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে র্যাব।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দফতরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
তিনি জানান, রমনা থানার এই মামলায় বুধবার সকালে সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছি আমরা। সেখানে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে তাকে আসামি করা হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা সম্রাট। ৭ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেদিনই তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের কারাগারে।
পাশাপাশি রমনা থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয় সম্রাটের বিরুদ্ধে। দুই মামলায় তাকে পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরেরপুল ইয়াংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোর ছড়াছড়ি। এর মধ্যে ইয়াংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্রাটের শিষ্য খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন সম্রাটের লোকজন।