হল না ছাড়লে প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ফের উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
জাবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার
আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনার পর গতকাল জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সে নির্দেশ অমান্য করে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলে অবস্থান করছিলেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আবারও বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নির্দেশ অমান্য করলে 'কঠোর' পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর এ ঘোষণায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে।
হল প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন,'বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল দোকান বন্ধ থাকবে। এছাড়া সাড়ে তিনটার মধ্যে সকল আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও হলে অবস্থান করলে প্রশাসনিক যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এ ঘোষণার পর সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ হলের প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বন্ধ রয়েছে সকল দোকানপাট। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে।
অন্যদিকে হল ভ্যাকেন্ট প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এই বিজ্ঞপ্তি আসার পরও বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আন্দোলনকারীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ করে সেখানে অবস্থান নেয়।
এদিকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওখানে বসে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
কেআই/এসি