রাস্তায় পড়ে থাকা বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিলেন গবি’র শিক্ষকরা
গবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ৭ নভেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষকদের বাস চালক জয়নাল। প্রতিদিনের মতো শিক্ষকদের নিয়ে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডেইরি গেট পার হয়ে প্রান্তিক গেটের দিকে যাওয়ার সময় এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে বাস থামাতে বলেন শিক্ষকরা। কয়েকজন শিক্ষক বাস থেকে নেমে বয়স্ক লোকটিকে উদ্ধার করে নিজেদের বাসে করেই গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাবির প্রান্তিক গেটের নিকটে এ ঘটনা ঘটে।
ওই সময়ের বর্ণনা করতে গিয়ে গবির প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঢাকা থেকে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। বাসটি প্রান্তিক গেটের সামনে পৌঁছালে একজন বয়স্ক লোককে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ যাবত লোকটি এমন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন বলে বোধ হয় আমাদের। পরে আমি, পদার্থ ও রসায়ন বিভাগে শামীম মাহবুবসহ শিক্ষকরা গিয়ে বয়স্ক লোকটিকে নিয়ে গাড়িতে তুলি এবং পরে চিকিৎসার জন্য তাকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় ওই বয়স্ক লোকটির প্যান্টের পকেটে থাকা পরিচয়পত্র থেকে লোকটির প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া যায়। আহত অবস্থায় উদ্ধারকৃত ওই লোকটির নাম মুজিবুর রহমান (৬০)। তিনি মূলত জাপান টোব্যাকো কোম্পানিতে ভ্যান চালক হিসেবে কাজ করেন এবং সাভারে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মুজিবুর রহমান জানান, সকালে ভ্যান নিয়ে তিনি বের হন। জাবির প্রান্তিক গেটের কাছাকাছি পৌঁছাতেই পিছন থেকে আগত একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলে তিনি তৎক্ষণাৎ ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুত্বর আঘাত পান।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মদ মুকাম্মেল জানান, উদ্ধারের ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম না, তবে আমি ফোনের মাধ্যমে বিষয়টা জানতে পেরেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বয়স্ক লোকটিকে যে সাহায্য করেছে তা অবশ্যই ভালো কাজ । সকালেরই উচিত এমন মহৎ কাজ করা।
এই ঘটনার পরে মুজিবুর রহমানের ছেলের সাথে যোগাযোগ করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুজিবুরের পরিবারের সদস্যরা গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার জানাজানি হলে অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের শিক্ষকদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
এমএস/এসি