ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নাগালে আসছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

গত কয়েক মাস ধরে রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে উঠা-নামা করছে পেঁয়াজের বাজার। এ সময়ে কয়েকধাপে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ভোক্তা অধিকার থেকে শুরু করে মন্ত্রীর কোনো আশ্বাসেও কমছে না পেয়াজের দর। 

সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমারের পাশাপাশি তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসায় কিছুটা নাগালে আসতে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। দুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, সেই পেয়াজের দাম কমে এখন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম কিছুটা কমলেও তা পর্যাপ্ত না বলে মনে করছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল, খিলগাঁও, ফকিরাপুল, সেগুনবাগিচা ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

এসব বাজারে দেখা যায়, বাজারভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি আমদানি করা ভারতীয় (বড়) পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ (ছোট) প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি সব ধরনের পেঁয়াজে ১০ টাকা কমেছে। তবে পেঁয়াজে দাম কমলে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।

ক্রেতারা জানান,  পেঁয়াজের কেজি যেখানে ১৪০ ছুঁই ছুঁই সেখানে ১০ টাকা কম কোনো দাম কমার মধ্যে পড়ে না। আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতিনিয়ত বাজারে আসছে। নতুনভাবে আমদানি করা হচ্ছে, তাহলে দাম কেন কমবে না?। তার মতে, বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

এদিকে, সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া প্রতিদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি ট্রাকসেলে অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকসেলে বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে রাজধানীর শ্যামবাজার বণিক সমিতি। পাইকারী ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি করবেন। এছাড়া মিশর, তুরস্ক ও চীনের পেঁয়াজের কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

তবে সহসাই পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে আসছেনা বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) তিনি বলেন, আপাতত একশ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাসের শেষ দিকে দেশের উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসলে, তবেই দাম কমতে পারে বলে জানান তিনি। 

এদিকে, পেঁয়াজের ঝাঁজ কিছুটা কমলেও, অপরিবর্তিত রয়েছে মসলা জাতীয় অন্য পণ্য আদা-রসুনের দাম। এসব বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। চায়না রসুন ১৫০ টাকা, দেশি আদা ১৭০ টাকা, চায়না আদা ১৬০ টাকা, প্রতি কেজি কাঁচা আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া, রান্নায় অতি আবশ্যিক কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। বর্তমানে বাজারে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে রান্নার নিত্য এ পণ্যটি।

এআই/