রাসূল (সাঃ)-এর জীবনে সময়ের মূল্য
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৯ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
প্রথম কথা হলো আমরা সময়ের মূল্য দেই না। সময় অনুযায়ী কাজ করিনা। কারো সঙ্গে কথা দিলে সময়মত উপস্থিত হইনা। রাসূল (সাঃ) জীবনে সময়কে যথাযথ সম্মান দিয়েছেন।
একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যদি কোনো মুমিন অন্য কোনো মুমিনের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে সাক্ষাতের ওয়াদা করে এবং সময়মত হাজির না হয় তবে তার উপর খোদার লানত বর্ষিত হতে থাকে ততক্ষণ, যতক্ষণ সে ঐ মুমিনকে অপেক্ষায় রাখে।
দ্বিতীয়ত, আমরা নিজের কাজ নিজে করিনা। অন্যকে আদেশ করি। কিন্তু রাসূল (সাঃ) নিজের কাজ অন্যকে করতে দিতেন না। তাছাড়া, নিজের স্ত্রীদেরও নানা কাজে সাহায্য করতেন।
তৃতীয়ত, অসময়ে তিনি কারো সঙ্গে সাক্ষাত করতে যেতেন না। যোহর এবং এশার নামাজের পর তিনি কারো সঙ্গে সাক্ষাত করতে যেতেন না। আমরা তাঁর এ সুন্নতগুলোকে লঙ্ঘন করছি খুব বেশি। বিশেষ করে আমাদের সময়ানুবর্তিতা নেই বললেই চলে।
আল্লাহর দেয়া নিয়ম অনুযায়ী সময়ের আগে বা পরে ফরজ নামাজ হয়না। নির্দিষ্ট মাস ছাড়া হজ্ব হয় না। রমজানের বাইরে অন্যকোনা মাসে রোজা ফরজ হয়না। আল্লাহ পাক বলেছেন, আমিই সময়। এ সময়ের আদি নেই, নেই কোনো অন্ত।
আজ আমরা আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূল (সাঃ) এর আদেশের অমর্যাদা করছি বলেই আমাদের জীবনে বিপর্যয়ের শেষ নেই- সফলতা নেই। এ শিক্ষা আমাদের দেয়া হয়েছে পনের শত বছর আগে। তাই, রাসূল (সাঃ) এর অনুসারী হিসাবে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।
লেখাটি-মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ সংকলিত হযরত সৈয়দ রশীদ আহমদ জৌনপুরির (রহ.) সঙ্গে ধর্ম ও দর্শনকেন্দ্রিক কথোপকথন ‘সংলাপ সমগ্র’ থেকে নেয়া হয়েছে।
আরকে//