ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায়
পটুয়াখালিতে ১৪০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৮:৩৯ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে আজ শুক্রবার সকাল থেকে পটুয়াখালীর বাউফলের চরাঞ্চলসহ সর্বত্র থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সারাদিন আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। আবাহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা সংকেতের কারণে চর ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের অবস্থান নেওয়ার সুবিধার্থে উপজেলার মোট ১৪০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থানে করা হয়েছে ঝড়ের সতকর্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। সর্বসাধারণের মধ্যে
ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে জানান, ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁসিয়ারি সংকেতের কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদরের সভাপতিত্বে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন নিয়ে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সভা করেছে। সাইক্লোন সেল্টারগুলো আপদকালীন সময়ে সর্বসাধারণের সহজ আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে টেলিভিশন ও সংবাদ মাধ্যমের আবহাওয়া বুলেটিনের ওপর।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস জানান, সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি ও দূর্যোগের খোঁজখবর রাখতে পিআইও অফিসে একটি কন্টোল রুম (০১৭৪৬৬১২৬২৫, ০১৭১০০০৬২১৬, ০১৭৪৯৪৯৬৯৫৫) খোলা হয়েছে। উপজেলা অডিটরিয়ামে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা এখনও চলছে।
এ দিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ মুঠোফোনে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র খবরে চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সতর্কতা জারির কারণে কালাইয়া, চরওয়াডেল, দশমিনার বাঁশবাড়িয়া, রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া, ছোটবাইশদিয়া, কোরালিয়াসহ বিভিন্ন নিরাপদ স্থানে মাছধরার ট্রলারের অবস্থান নেওয়ার কথা জানা গেছে।
বাউফলের চর ফেডারেশনে ২০০৭’র সিডরের অঘাতের কথা স্মরণ করে স্থানীয় নুরুন নাহার বেগম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনলে ভয় লাগে। আল্লার কাছে প্রার্থণা করি এবার যেন পানিতে ভাসা না লাগে।’
ভরিপাশা গ্রামের মমিনপুর চরের কৃষক আলমগীর গাজী বলেন, ‘এখন চরাঞ্চলে শিষে আমোন ধান আসতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় হলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’
এমএস/আরকে