ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

দুর্যোগে রক্ষা পেতে পড়বেন যে দোয়া  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৫ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ১০:৩১ এএম, ১৯ মে ২০২০ মঙ্গলবার

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ-ব্যাধীসহ সব ধরণের বিপদ-আপদে মানুষ বড় অসহায় হয়ে পড়ে। তাই সৃষ্টি কর্তার কাছে কায়মনো বাক্যে তারা বিপদ থেকে মুক্তি পেতে চায়। কিন্তু ঠিক কি বলে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা উচিত, তা হয়তো অনেকেই জানে না। তাই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে সেসব সুনির্দিষ্ট সূরা বা দোয়া কালাম শিখে নেওয়া দরকার। যেমন-  

বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য পবিত্র কোরআন এবং রাসুল (সা.) এর হাদিসে কিছু দোয়াও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রা.) বলেন, ‘যখন রাসুলুল্লাহ (সা.)- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন।’ (তিরমিজি মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২৪৫৪)

দোয়ায়ে ইউনুস (আ.): রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মাছের পেটে ইউনুস (আ.) এ দোয়া পড়ে আল্লাহকে ডেকে ছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।’ (আহমাদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস নম্বর: ২২৯২)।

উচ্চারণ: ‘লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহা-নাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন’ (সুরা আম্বিয়া: ২১/৮৭)

অর্থ: প্রভু হে, তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমি মহাপবিত্র। আমি পাপি। আমি গুণাহগার। আমায় ক্ষমা কর।

এ দোয়াটি কমপক্ষে ১০০ বার পাঠ করাসহ আরও ৩টি সূরা ১০০ বার করে পড়া যেতে পারে। ৩টি সূরার মধ্যে রয়েছে সূরা ফালাক, সূরা নাস ও আয়াতুল কুরসি।

সূরা ফালাক এর উচ্চারণ: কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিল্ ফালাক্বি।মিন্ শার রিমা-খলাক্ব। অমিন্ শাররি গ-সিক্বিন্ ইযা-অক্বাব্। অমিন্ শাররি ন্নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ ‘উক্বদ্। অমিন্ শাররি হা-সিদিন্ ইযা-হাসাদ্।

অর্থ: ( হে নবী! তুমি) বলো, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতে স্রষ্টার। আশ্রয় গ্রহণ করছি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ঠ থেকে, রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে, গ্রন্থিতে ফুৎকারদানকারী ডাইনিদের অনিষ্ঠ থেকে, হিংসুকের হিংসার অনিষ্ট থেকে।

সূরা নাস এর উচ্চারণ:  কুল্ আ‘ঊযু বিরব্বিন্না-স্। মালিকিন্না-স্ । ইলা-হি ন্না-স্ । মিন্ শাররিল ওয়াস্ ওয়া-সিল্ খান্না-সি । আল্লাযী ইউওয়াস্ওয়িসু ফী ছুদূরিন্না-স্। মিনাল্ জ্বিন্নাতি অন্না-স্। 

অর্থ: ( হে নবী! তুমি) বলো, মানুষের অন্তরে গোপনে কুমন্ত্রণাদানকারীর কুমন্ত্রণা এবং জ্বীন ও মানুষের কুমন্ত্রণার অনিষ্ট থেকে মানুষের অধিপতি, মানুষের উপাস্য, মানুষের প্রতিপালকের নিকট আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি।

আয়তাল কুরসি: বিপদ ছাড়াও শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার আয়াত আয়তাল কুরসি: হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, সূরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, যে ঘরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে। [মুসতাদরাকে হাকিম]। তাই এখনই পবিত্র আয়তুল কুরসীটি মুখস্থ করে নিন।

উচ্চারণঃ‬ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বিয়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি শাশ্বত চিরঞ্জীব।  বিশ্ব প্রকৃতির সর্বসত্তার ধারক। তিনি তন্দ্রা নিদ্রাহীন সদাসজাগ। মহাকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুর মালিক। তাঁর  সদয় অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করার সাধ্য কারো নেই। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য, অতীত বা ভবিষ্যৎ-সৃষ্টির সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু জানাবেন, এর বাইরে তাঁর জ্ঞানের আসন, তাঁর কর্তৃত্ব পৃথিবী ও নভোমণ্ডলের সর্বত্র বিস্তৃত। আর তা  সংরক্ষণে তিনি অক্লান্ত। তিনি সর্বোচ্চ সমহান। -(সূরা বাকারা:২৫৫)। 
 
আরকে//