ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’: বরগুনায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ব্যাপক প্রস্তুতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০১৯ শনিবার
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় বরগুনায় ৫০৯টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ইতোমধ্যেই ৮টি জরুরি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ৪২টি মেডিকেল টিম ও ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককেও প্রস্তুত করা হয়েছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মেস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে ট্রলারগুলো তীরে ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েক শ ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরেছে। বেড়িবাঁধের বাইরের লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বরগুনা জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। চলছে দফায় দফায় সভা।
জেলা জুড়ে বর্ষণ চলছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো (এনজিও) দুর্য়োগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো খুলে রাখা হয়েছে। সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপজেলা টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ জানিয়েছেন, বরগুনায় ৩৪১টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৫০৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে ৫ লক্ষাধিক লোক আশ্রয় নিতে পারবে। জেলায় তাদের ৬ হাজার ৩৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক মাঠে রয়েছেন। পর্যাপ্ত খাবার মজুদ আছে।
বরগুনার কমিউনিটি রেডিও লোকবেতার ২৪ ঘণ্টা সম্প্রচার বলে জানিয়েছেন স্টেশন ম্যানেজার মনির হোসেন কামাল।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ব্রহ্ম জানিয়েছেন, জেলার ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝূকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ’র (বিআইডব্লিউটিএ) পোর্ট অফিসার মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, বরগুনা থেকে সকল রুটের নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বেশীর ভাগ ট্রলারই পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে ফিরে এসেছে। বঙ্গোপসাগরে যারা ছিলো, তারাও ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে এসেছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বরগুনাকে অন্যতম ঝুঁকিপূর্র্ণ উল্লেখ করায় স্থানীয় লোকজন সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। সূত্র: বাসস।
এমএস/